সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএলে (IPL) কলকাতা (KKR) আর পাঞ্জাবের (PBKS) ম্যাচ বিখ্যাত 'বীর-জারার' লড়াই বলে। ক্রিকেটের সঙ্গে বলিউড মিশে যায় শাহরুখ খান আর প্রীতি জিন্টার উপস্থিতিতে। যদিও শুক্রবারের ইডেন দেখল জয়-বীরুর মতো আরেক দুরন্ত জুটিকে। তারা হলেন কেকেআরের দুই ওপেনার ফিল সল্ট (Phil Salt) আর সুনীল নারিন (Sunil Narine)। দুজনের বিধ্বংসী ইনিংসে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬১ রান তুলল নাইটরা।
চলতি আইপিএলে কেকেআরের দুই ওপেনারই দুরন্ত ফর্মে আছেন। রাজস্থানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছেন নারিন। অন্যদিকে লখনউ ম্যাচে ৮৯ রানে অপরাজিত ছিলেন ফিল সল্ট। কিন্তু দুজন এক সঙ্গে চার-ছক্কার ঝড় তুলতে শুরু করলে কেমন লাগে, তা এত দিন দেখার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। এদিন কপাল পুড়ল পাঞ্জাবের। স্যাম কুরানের দলের বিরুদ্ধে মারমুখী হয়ে উঠলেন দুজনই। একাধিক ক্যাচ ছেড়ে তাঁদের কাজ আরও সহজ করে দিল পাঞ্জাবের ফিল্ডাররা।
[আরও পড়ুন: আইপিএলে আকাশ ছোঁয়া দর্শক সংখ্যা, মাঝ মরশুমেই ভাঙল অতীত সব রেকর্ড]
সাধারণত ইডেনে রান তাড়া করে জেতাটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুরান। কিন্তু পাঞ্জাবের বোলিং আক্রমণে সেই ঝাঁঝটাই নেই। লড়াইয়ের যেটুকু ক্ষমতা ছিল, তাও শুষে নিলেন নারিন-সল্ট জুটি। ম্যাচের প্রথম দুটি ওভার ঢিমেতালেই চলছিল। কিন্তু তৃতীয় ওভারে হর্ষল প্যাটেলের বলে ১৮ রান নিলেন সল্টরা। ইনিংসের গতিটা ওখান থেকেই বেড়ে গেল। পরের ওভারে কুরানকে ধুয়ে দিয়ে নিলেন ২১ রান। পাওয়ার প্লে-তে উঠল ৭৬ রান।
রাবাডাকে চার মেরে মাত্র ২৪ বলে অর্ধশতরান করলেন নারিন। ভক্তরা ধরেই নিয়েছিলেন এদিনও সেঞ্চুরি আসবে ক্যারিবিয়ান তারকার ব্যাট থেকে। সেঞ্চুরি হয়তো এল না, কিন্তু বিনোদনের সমস্ত মশলা ছিল তাঁর ইনিংসে। শেষ পর্যন্ত নারিন থামলেন ৩২ বলে ৭১ করে। একদিকে ঝড় থামলেও ফিল সল্টের দাপট তখন চলছিল। শাহরুখ খানকে বারবার দেখা গেল হাততালি দিয়ে উৎসাহ দিতে। কুরানের দুরন্ত ইয়র্কারে সল্ট ফিরে গেলেন ৩৭ বলে ৭৫ রানে। নাইটদের স্কোর তখন ১৫৭।
[আরও পড়ুন: ভাঙছে একের পর এক ক্যামেরা, প্র্যাকটিসে খরচ বাড়াচ্ছেন মুম্বই ব্যাটাররা! দেখুন ভিডিও]
সেখান থেকে রানের গতিবেগ সামান্য কমলেও অনায়াসে ২৫০ রান পার হয়ে গেল নাইটদের স্কোর। ভেঙ্কটেশ আইয়ার (৩৯), শ্রেয়স আইয়ার (২৮), আন্দ্রে রাসেলদের (২৮) ছোট ক্যামিও জুড়ে নাইটরা থামল ২৬১ রানে। এই ম্যাচের প্রথম একাদশে নেই মিচেল স্টার্ক। সেই জায়গায় অভিষেক ঘটেছে দুষ্মন্ত চামিরার। প্রথম ম্যাচ হিসেবে এত বড় রানের লক্ষ্য সামলানোর দায়িত্ব তাঁকে বাড়তি সুবিধাই দেবে।