সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মপালনের কারণে অধিনায়কত্ব থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে মহম্মদ রিজওয়ানকে! বিস্ফোরক দাবি করলেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক রশিদ লতিফ। তাঁর কথায়, ড্রেসিংরুমে ইসলামিক সংস্কৃতি মোটেই ভালোভাবে নেননি পাক কোচ মাইক হেসন। তাই কোচের অঙ্গুলিহেলনেই নেতৃত্ব থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে রিজওয়ানকে, তোপ রশিদের।
একাধিকবার প্যালেস্টাইনের হয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের সদ্যপ্রাক্তন ওয়ানডে অধিনায়ককে। এক লক্ষ টাকা দান করেছিলেন প্যালেস্তিনীয় ত্রাণে। পাকিস্তানের জয় উৎসর্গ করেছেন প্যালেস্তিনীয়দের। সোশাল মিডিয়াতেও বারবার প্যালেস্টাইনের দুর্দশা নিয়ে কথা বলেছেন। গাজার যুদ্ধে ইজরায়েলের ভূমিকা নিয়ে তোপ দেগেছেন। সেকারণেই কিউয়ি কোচের আমলে রিজওয়ানের নেতৃত্ব গিয়েছে, দাবি রশিদের।
সোমবার রিজওয়ানকে সরিয়ে শাহিন আফ্রিদিকে ওয়ানডে অধিনায়ক করেছে পাক বোর্ড। তারপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে রশিদ লতিফ বলেন, "প্যালেস্টাইনের হয়ে মুখ খুললেই তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়? আসলে পাক ক্রিকেটে মানসিকতা তৈরি হয়ে গিয়েছে, ইসলামিক দেশের অধিনায়ক হিসাবে কোনও অমুসলিমকে আনতে হবে। ড্রেসিংরুমে ইসলামিক সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে চায় মাইক হেসন। কারণ এই সংস্কৃতি ওর পছন্দ নয়।"
রশিদের মতে, পাক ড্রেসিংরুমে ইনজামাম উল হক, সইদ আনোয়ার বা সাকলিন মুস্তাকের মতো তথাকথিত কট্টর মুসলিম ক্রিকেটাররা থাকাকালীনও কোনও সমস্যা হয়নি। তাহলে বর্তমানে ড্রেসিংরুমে ইসলামিক সংস্কৃতি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে কেন? যদিও রিজওয়ানকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে পাক বোর্ডের তরফে কোনও সাফাই দেওয়া হয়নি। অধিনায়ক হিসাবে সেরকম সাফল্যও আনতে পারেননি রিজওয়ান। কেবলমাত্র পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই তাঁর চাকরি যাওয়ার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। তবে রশিদের মন্তব্যে চর্চা বাড়ছে পাক ক্রিকেট নিয়ে।
