শুভায়ন চক্রবর্তী, বেঙ্গালুরু: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে হারের রেশ তখনও কাটেনি। হঠাৎই চিন্নাস্বামীতে দেখা গেল বহুপরিচিত এক দৃশ্য। যার জন্য অপেক্ষা করে আছেন ক্রিকেটভক্তরা। সামনে ব্যাট হাতে কখনও শুভমান গিল, কখনও-বা সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার। আর বল হাতে পূর্ণ রানআপে ছুটে আসছেন মহম্মদ শামি। ক্রিকেট মাঠে প্রত্যাবর্তনের কাজ যে একেবারে শেষ অধ্যায়ে, তা এদিন একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গেল।
গতবছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আর বল হাতে মাঠে দেখা যায়নি তাঁকে। বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) চলেছে সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া। দিন দুয়েক আগে এই চিন্নাস্বামীতেই দেখা গিয়েছিল, ফের অস্ত্রে শান দিচ্ছেন তিনি। আর এদিন তাঁকে নজরে রেখেছিলেন ভারতের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল। সঙ্গে শুভমান, অভিষেকদের বিপাকে ফেলে প্রত্যাবর্তনের হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন শামি।
সেই চেনা সুইং। বল ঘুরছে দুদিকেই। প্রথমে শুভমান গিলকে অনেকক্ষণ বল করলেন। তার পর নেটে ঢুকলেন অভিষেক নায়ার। ২০-৩০ মিনিটের সেশনে শামি প্রায়ই নাস্তানাবুদ করলেন ভারতীয় দলের সহকারী কোচকে। অবশেষে প্রবেশ মর্কেলের। তিনি তীক্ষ্ণ নজর রাখলেন রানআপের উপর। কিছুক্ষণ কথাও বললেন দুজনে। মাঝে অবশ্য ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের সঙ্গে চলল ক্যাচিং অনুশীলন। পুরো সময়টাই অবশ্য বাঁ হাঁটুতে মোটা স্ট্র্যাপ বাঁধা ছিল।
তার পর উইকেট পুঁতে গুড লেংথ অঞ্চলে একটা 'কোন' দিয়ে নিশানা দিয়ে দিলেন মর্কেল। শামির কাজ হল, সেটাকে লক্ষ্য করে বল করা। তাতেও খুব একটা বেগ পেতে হল না ৩৪ বছর বয়সি পেসারকে। সব মিলিয়ে বর্ডার গাভাসকর ট্রফির আগেই তৈরি হওয়ার পথে শামি। সিরিজ শুরুর আগে রোহিত শর্মা জানিয়ে ছিলেন, আধা ফিট শামিকে অস্ট্রেলিয়া সফরে নিয়ে যেতে চান না। কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে পুরো ফিট হয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিমানে উঠতে পারেন শামি।