সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চুক্তি ছিল আড়াই বছরের। কিন্তু মাত্র ছমাসের মধ্যেই পাকিস্তানের সাদা বলের কোচিং থেকে ইস্তফা দিয়েছেন গ্যারি কার্স্টেন। কেন এই সিদ্ধান্ত? যার পিছনে রয়েছে পিসিবি-র একাধিক কার্যকলাপ। তার মধ্যে একটি হল মহম্মদ রিজওয়ানকে অধিনায়ক করা। যিনি দায়িত্ব নিয়েই হুংকার দিলেন, 'অস্ট্রেলিয়াকে ওদের মাটিতে হারাব'।
পাক ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরেই ডামাডোল চলছে। একের পর এক ব্যর্থতা, আর তার পরই অধিনায়ক বদল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন বাবর আজম। সেই জায়গায় এলেন মহম্মদ রিজওয়ান। সামনে জিম্বাবোয়ে ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজ। তার আগে পাকিস্তানের নবনিযুক্ত নেতার ঘোষণা, "কোনও সন্দেহ নেই যে, অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে আমাদের সমস্যা হয়। আগের ফলাফল সেকথাই বলে। কিন্তু এবার আমাদের উপর ভরসা রাখুন। কিছু ভুল আমাদের চোখে পড়েছে। সেগুলোর উপর কাজ চলছে। ইনশাল্লাহ, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই অস্ট্রেলিয়াকে হারাব।"
যাঁর এই আত্মবিশ্বাসী হুংকার, তাঁকে অপছন্দ ছিল কার্স্টেনের। সেরকমই মনে করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বাসিত আলি। তিনি বলেন, "রিজওয়ানকে অধিনায়ক করা থেকেই সমস্ত গণ্ডগোলের শুরু। কার্স্টেন অন্য কাউকে অধিনায়ক হিসেবে চেয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, তাঁর হাতে পুরো কর্তৃত্ব আছে। কিন্তু বুঝতে পারেননি আমাদের দেশে পিসিবি চেয়ারম্যান একরাতেই সবকিছু বদলে দিতে পারেন।"
এমনকী শোনা যাচ্ছে, জিম্বাবোয়ে ও অস্ট্রেলিয়ায় সীমিত ওভারের দল ঘোষণার বিষয়ে বিশ্বজয়ী কোচের বক্তব্যকে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। তার পরই ইস্তফা। সেই জায়গায় আপাতত দায়িত্ব সামলাবেন টেস্ট দলের কোচ গিলেসপি। পিসিবি চায়, তাঁকে পূর্ণ সময়ের দায়িত্ব দিতে। কিন্তু সেখানেও ডামাডোল। কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল, দল নির্বাচনে গিলেসপি বা অধিনায়ক শান মাসুদের মতামত অগ্রাহ্য করা হয়। অর্থাৎ তাঁদের অবস্থাও কার্স্টেনের থেকে আলাদা কিছু নয়। ফলে গিলেসপির ভবিষ্যৎ কী দাঁড়ায়, সেদিকেও নজর থাকবে।