সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান ক্রিকেটে ডামাডোল লেগেই আছে। একে তো মাঠের মধ্যে লাগাতার হারে সমালোচিত ক্রিকেটাররা। মাঠের বাইরেই বা রেহাই কোথায়? বাবর আজমের(Babar Azam) সমর্থনে দাঁড়িয়ে বিপাকে জাতীয় দলের সতীর্থ। আর সেটা এল খোদ পাক বোর্ডের তরফ থেকেই। সোশাল মিডিয়ায় পোস্টের জেরে ফখর জামানকে 'শো কজ' করল পিসিবি(PCB)। প্রশ্নের মুখে ক্রিকেটারদের বাকস্বাধীনতাও।
ঘটনাটা ঠিক কী? তার জন্য ফিরে যেতে হবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাকি দুটি টেস্টের দল ঘোষণার সময়ে। যেখানে দল থেকে বাদ দেওয়া হয় তারকা ব্যাটার বাবর আজমকে। সেই সঙ্গে বাদ পড়েন শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহরাও। বাবরের ফর্ম খারাপ চলছে অনেকদিন ধরেই। কিন্তু তাঁকে যে এভাবে বাদ দেওয়া হতে পারে, তা অনেকেই ভাবতে পারেননি।
তার মধ্যে আছেন ফখরও। ৩৪ বছর ক্রিকেটার মাস কয়েক আগেও দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। এখন অবশ্য কোনও ফরম্যাটেই সেভাবে সুযোগ পাচ্ছেন না। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, "বাবরকে বাদ দেওয়ার ঘটনা চিন্তাজনক। ভারত তো বিরাটকে বসায়নি, যখন ২০২০ থেকে ২০২৩-র মধ্যে বিরাটের গড় কম ছিল। যদি আমরা আমাদের সেরা ব্যাটার, বলতে গেলে পাকিস্তানের সেরা ব্যাটারকে বসিয়ে দিই, তাহলে সেটা নেতিবাচক বার্তা পাঠায়।"
ফখরের বক্তব্য অবশ্য ভালোভাবে নেননি নেটিজেনরা। বিশেষ করে বিরাটের যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন, তার সঙ্গে বাবরের তুলনায় ক্ষুব্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা। সেখান থেকে যদিও বা রেহাই মিলল, ছাড় দিল না পিসিবি। জানা যাচ্ছে, ২১ অক্টোবরের মধ্যে ফখরের থেকে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। তিনি আচরণবিধি ভেঙে বোর্ডের নীতি ও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ফখরের বিরুদ্ধে এটাই মূল অভিযোগ। তিনি কী জবাব দেন, সেদিকে নজর থাকবে ক্রীড়াপ্রেমীদের। তবে একই সঙ্গে কথা উঠছে পাকিস্তানের বাকস্বাধীনতা নিয়েও। একজন ক্রিকেটার কি তাঁর সতীর্থের পাশে দাঁড়াতে পারবেন না? ফখরের প্রসঙ্গে এই কথাও উঠছে নেটদুনিয়ায়।