সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে প্রকাশিত হয়েছে আইপিএলে রিটেনশন তালিকা। সর্বোচ্চ ২৩ কোটি টাকা পেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হেনরিক ক্লাসেন। সবচেয়ে কম মাত্র দুজন ক্রিকেটারকে ধরে রাখল পাঞ্জাব কিংস। তাহলে আসন্ন মেগা অকশনের টেবিলে বসার আগে কত টাকা রইল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর হাতে? সেই টাকায় কতজন ক্রিকেটার কেনা যাবে?
নিলামে সবচেয়ে বেশি টাকা থাকছে পাঞ্জাব কিংসের হাতে। ১১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে নিলামের টেবিলে বসছে প্রীতি জিন্টার দল। এই অর্থের মধ্যে পুরো দল গড়তে হবে রিকি পন্টিংকে। কারণ গত মরশুম থেকে কেবল প্রভসিমরন সিং এবং শশাঙ্ক সিংকে রিটেন করেছে পাঞ্জাব। তাদের হাতে আরটিএম বেঁচে ৪টি।
৮৩ কোটি টাকা নিয়ে নিলামে যাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলি-সহ তিনজন ভারতীয় ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে তারা। মেগা অকশন থেকে মূলত স্পিন এবং পেস দুরকম বোলার কিনতে হবে ম্যানেজমেন্টকে। এছাড়াও উইকেটকিপারের প্রয়োজন আরসিবির। শোনা যাচ্ছে বিরাট ফের আরসিবির নেতৃত্বে ফিরতে পারেন। সেই জল্পনা সত্যি না হলে একজন অধিনায়কেরও খোঁজে থাকবে আরসিবি। তাদের হাতে আরটিএম বেঁচে ৩টি।
নিলামের টেবিলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হাতে থাকবে ৭৩ কোটি টাকা। ঋষভ পন্থকে ছেড়ে দেওয়ার পরে একজন অধিনায়ককে কিনতে মুখিয়ে থাকবে দিল্লি। এছাড়াও নজর থাকবে দেশি-বিদেশি ব্যাটার এবং পেসারের দিকে। অক্ষর এবং কুলদীপকে রিটেন করে স্পিন বিভাগকে ইতিমধ্যেই শক্তিশালী করে ফেলেছে দিল্লি। উইকেটকিপার হিসাবে থাকছেন অভিষেক পোড়েলও। তাদের হাতে আরটিএম বেঁচে ২টি।
গত মরশুমের অধিনায়ক কে এল রাহুলকে ছেড়ে দিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। ৬৯ কোটি টাকা নিয়ে অকশনে যাবেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কারা। দুই তরুণ পেসার ইতিমধ্যেই রয়েছে দলে। নিলামে বিদেশি পেসারের দিকে নজর থাকবে লখনউ ম্যানেজমেন্টের। ভালো ব্যাটারও প্রয়োজন তাদের। হাতে আরটিএম বেঁচে ১টি।
গুজরাট টাইটান্সের হাতেও ৬৯ কোটি টাকা থাকবে মেগা অকশনের আগে। রশিদ খানের নেতৃত্বে গুজরাটের স্পিন বিভাগ যথেষ্ট শক্তিশালী। নিলাম থেকে ভালো ব্যাটারের পাশাপাশি পেসারের খোঁজে থাকবে ম্যানেজমেন্ট। তাদের হাতে আরটিম বেঁচে ১টি।
আগামী মরশুমেও মহেন্দ্র সিং ধোনিকে রেখেই দল গঠন করবে চেন্নাই সুপার কিংস। ৫৫ কোটি টাকার মধ্যে ব্যাটার, পেসার, স্পিনার সমস্ত রকম ক্রিকেটারই কিনতে হবে তাদের। যদিও শিবম দুবে এবং রবীন্দ্র জাদেজার মতো অলরাউন্ডারকে রিটেন করে দলের কোর অনেকটাই ধরে রেখেছে চেন্নাই ম্যানেজমেন্ট। তাদের হাতে আরটিএম বেঁচে ১টি।
৬ জন ক্রিকেটারকে রিটেন করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তার পরেও শাহরুখ খানের হাতে ৫১ কোটি টাকা থাকবে দল সাজানোর জন্য। ব্যাটিংয়ে ভালো ওপেনার এবং দেশি-বিদেশি পেসার কেনার দিকেই নিলামে সবচেয়ে বেশি জোর দেবে নাইট ম্যানেজমেন্ট। তবে নারিন-বরুণ জুটি ভরসা যোগাবে স্পিন বিভাগকে। অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারকে ছেড়ে দেওয়ার ফলে নতুন নেতার খোঁজে থাকবে কেকেআর।
২৩ কোটি টাকা দিয়ে হেনরিখ ক্লাসেনকে রিটেন করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মোট ৫ জন ক্রিকেটারকে রিটেন করার পরেও অরেঞ্জ আর্মির পার্সে থাকছে ৪৫ কোটি। গতবারের মতো এবারও দুর্ধর্ষ ব্যাটিং লাইন আপ থাকছে হায়দরাবাদের। তবে পেসার এবং স্পিনারের প্রয়োজন থাকবে তাদের। তাদের হাতে আরটিএম বেঁচে ১টি।
দীর্ঘদিনের কোর ধরে রেখে মোট ৫ ক্রিকেটারকে রিটেন করেছে মুম্বই। দলের ব্যাটিং মোটামুটি শক্তিশালী হলেও স্পিনার একেবারেই নেই। নিলাম থেকে ঘূর্ণি বোলার কিনতে হবে মুম্বই ম্যানেজমেন্টকে। এছাড়াও তাদের প্রয়োজন উইকেটকিপারের। বুমরাহ-হার্দিক ছাড়াও বিদেশি পেসার কিনতে হবে। সবমিলিয়ে মুম্বইয়ের হাতে থাকবে ৪৫ কোটি। তাদের হাতে আরটিএম বেঁচে ১টি।
রিটেনশনের নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে মেনে রিটেনশন করেছে রাজস্থান রয়্যালস। ৬ জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার পরে ৪১ কোটি টাকা থাকছে তাদের পার্সে। ইতিমধ্যেই যথেষ্ট শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ গড়ে ফেলেছে তারা। তবে পেস এবং স্পিন দুরকম বোলারই তাদের কিনতে হবে আসন্ন নিলামে।