স্টাফ রিপোর্টার: ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড প্রথম টেস্টের কেন্দ্র বেঙ্গালুরুর সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার রাচীন রবীন্দ্রর প্রভূত যোগাযোগ রয়েছে। কারণ, পারিবারিক শিকড় ধরলে তিনি কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর ছেলে। রাচীনের বাবা-মা রবি কৃষ্ণমূর্তি এবং দীপা, বেঙ্গালুরুরই বাসিন্দা ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটারের দাদু-ঠাকুমা এখনও থাকেন বেঙ্গালুরুতে। তাই রাচিনের বেঙ্গালুরুতে খেলতে নামা তাঁর ক্ষেত্রে প্রায় একটা পারিবারিক ‘রিউনিয়ন’। দেখতে গেলে, বেঙ্গালুরু তাঁর ‘ঘরের’ মাঠও বটে!
১৬ অক্টোবর থেকে বেঙ্গালুরুতে শুরু হচ্ছে ভারত-নিউজিল্যান্ড প্রথম টেস্ট। নিজের পুরনো শহরে ছেলের খেলা দেখতে ওয়েলিংটন থেকে চলে এসেছেন রাচীনের বাবা। টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন রাচীনের জন্য গলা ফাটানোর লোকও থাকবে অনেক। যা নিয়ে সোমবার রাচীন আবেগপ্রবণ হয়ে বলে ফেললেন, ‘‘মাঝে মাঝে নিজেকে চিমটি কেটে দেখতে ইচ্ছে করে, সত্যিই এ জিনিস ঘটছে কি না? একেই টেস্ট ক্রিকেট অনবদ্য। তার উপর এই টেস্টটা স্পেশ্যাল পারিবারিক যোগসূত্রের কারণে। তার উপর আমার বাবা থাকবেন গ্যালারিতে। দেখুন আমি ওয়েলিংটনের ছেলে। কিন্তু আমার পরিবারে যে ভারতীয় ঐতিহ্য আছে, সেটাকে আমি প্রবল সম্মান করি। তাই বেঙ্গালুরুতে খেলার একটা আলাদা মাহাত্ম্য তো আছেই।’’
মুশকিল হল, রাচীন এত সুখাবহের মধ্যেও নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন না। বরং একটা কথা ভেবে তাঁর খচখচ করছে। দুশ্চিন্তা হচ্ছে ভারতের স্পিন-জুটিকে নিয়ে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজার স্পিন জুটি। দেখতে গেলে এ মুহূর্তে গোটা বিশ্বে সবচেয়ে সম্ভ্রম আদায়কারী স্পিন-জুটি যাঁরা। সম্মিলিত ভাবে টেস্টে আটশো উইকেট রয়েছে অশ্বিন-জাদেজার। তাই তাঁদের নিয়ে না ভেবে আর উপায় কী?
সোমবার বেঙ্গালুরুতে রাচীন বলছিলেন, ‘‘ভারতের হাতে এমন বোলার রয়েছে যারা কি না লম্বা সময় ধরে একই স্পটে বোলিং করে যেতে পারে। আমি অশ্বিন-জাদেজার কথা বলছি। দু’জন অত্যন্ত উঁচু দরের স্পিনার। তার উপর দু’জনেই ভালো ব্যাটিং করতে পারে। তাই আমাদের কাজটা বেশ কঠিন।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘অশ্বিন-জাদেজার মহড়া নেওয়ার কাজ কখনওই সহজ নয়। বিশেষ করে বিশ্বের এই ভূখণ্ডে। আমরা জানি, নিজেদের চেনা পরিবেশে কতটা ভালো টিম ভারত। যেমন ব্যাটিং, তেমন বোলিং। ভারতে এসে ভারতকে হারানো মোটেও সহজ কাজ নয়।’’