দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৬৩/৬ (কুইন্টন ডি কক ৬৫, ডেভিড মিলার ৪৩, আর্চার ৪০/৩)
ইংল্যান্ড: ১৫৬/৬ (হ্যারি ব্রুক ৫৩, লিভিংস্টোন ৩৩, কেশব ২৫/২)
৭ রানে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রুপ পর্ব থেকে সুপার এইটের রাস্তাটা একেবারেই মসৃণ ছিল না ইংল্যান্ডের। স্কটল্যান্ডের মতো দেশের সঙ্গে রীতিমতো টক্কর দিতে হয়েছে তাদের। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে ৪টি জয় নিয়ে শেষ আটে পৌঁছেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই অপরাজিত ধারাই বজায় রাখল তারা। এদিন সেন্ট লুসিয়ার স্টেডিয়ামে শেষ হাসি হাসলেন মার্করামরা। বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের দিকে এক পা দিয়ে বাড়িয়ে রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)।
এদিন টসে জিতে দুরন্ত শুরু করেছিল প্রোটিয়ারা। নেপথ্যে কুইন্টন ডি ককের দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি। অন্যদিকে হেনড্রিকসের (১৯) ব্যাট ততটা চলেনি। কিন্তু ডি ককের সামনে অসহায় দেখাচ্ছিল ইংরেজ বোলারদের। ৩৮ বলে ৬৫ রানে থামে তাঁর ইনিংস। যদিও একমাত্র ডেভিড মিলার (৪৩) ছাড়া কেউই রানের গতি বজায় রাখতে পারলেন না। ক্লাসেন (৮), মার্করাম (১), ত্রিস্তান স্টাবস (১২), মার্কো জানসেনরা (০) সকলেই ব্যর্থ। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থামে ১৬৩ রানে।
[আরও পড়ুন: রোহিতদের মিশন দক্ষিণ আফ্রিকা! বছর শেষে নতুন অভিযানে প্রোটিয়াদের মুখোমুখি টিম ইন্ডিয়া]
কিন্তু ইংল্যান্ড (England Cricket) ব্যাটিংয়ের টপ অর্ডারের সেই ধারটাই দেখা গেল না আজ। ফিল সল্ট ১১ রান করে আউট হয়ে গেলেন। পরের তিন ব্যাটারের স্ট্রাইকরেট ১০০-র নিচে। জস বাটলার (১৭), জনি বেয়ারস্টো (১৬), মইন আলিদের (৯) ধীর ব্যাটিংয়েই অনেকটা পিছিয়ে পড়ল গতবারের চ্যাম্পিয়ন। বলা যায়, তাঁদের বেঁধে রাখল কেশব মহারাজের (২৫/২) স্পিন। কিন্তু পরের দিকে মারকুটে ব্যাটিং করেন হ্যারি ব্রুক (৫৩) আর লিয়াম লিভিংস্টোন (৩৩)। আর সেখান থেকেই রুদ্ধশ্বাস দিকে ঘুরে গেল ম্যাচটা। যা এতক্ষণ দক্ষিণ আফ্রিকার হাতের মুঠোয় মনে হচ্ছিল, তা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই ইংরেজ ব্যাটার। জঘন্য বোলিং করে তাঁদের আজ আরও সহজ করে দিয়েছিলেন প্রোটিয়া বোলাররা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার দুরন্ত ফিল্ডিংই বাঁচিয়ে দিল তাঁদের। মার্করামের ক্যাচে ফিরে গেলেন হ্যারি ব্রুক। আর সেখানেই ম্যাচের ভবিষ্যৎ প্রায় লেখা হয়ে গেল। স্যাম কুরানের (১০) চেষ্টাও জেতাতে পারল না ইংল্যান্ডকে।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধে ভেঙেছে ঘরবাড়ি! সাপারেঙ্কো-ইয়ারেমচুকের গোলে ইউরোয় প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন ইউক্রেনের]
দুটো দলই সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতেছিল। ফলে এই ম্যাচ যারাই জিতুক তারাই অ্যাডভান্টেজ। পয়েন্ট টেবিলে অঙ্কের অনেক জটিলতা মাথায় রেখেও নির্দ্বিধায় বলা যায় সেই কথা। আর সেই কাজটাই করল দক্ষিণ আফ্রিকা। সঙ্গে অনেকটাই বাড়িয়ে রাখল রানরেট। ২ ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের পথে পা বাড়িয়ে রাখলেন মার্করাম।