সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯ মার্চ ছিল ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতীয় দল ৪ উইকেটে হারিয়ে দেয় নিউজিল্যান্ডকে। একই সঙ্গে অন্য ক্ষেত্রেও ম্যাচটি ঐতিহাসিকভাবে আইসিসি'র রেকর্ড বুকে জায়গা করে নিল। দর্শকসংখ্যার দিক থেকে রেকর্ড ভেঙেছে এই মেগা ফাইনাল। এমনকী আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালকেও তা ছাপিয়ে গিয়েছে।
এই প্রতিযোগিতার সরাসরি সম্প্রচার হয়েছিল স্টার স্পোর্টসে (১৩৭ বিলিয়ন মিনিট) এবং জিওহটস্টারে (১১০ বিলিয়ন মিনিট)। আর ৯ মার্চ দুবাইয়ে ব্লকবাস্টার ফাইনাল দেখেছিল বিপুল সংখ্যক মানুষ। টিভিতে ১২২ মিলিয়ন লাইভ দর্শক ছিলেন ফাইনালের সাক্ষী। জিওহটস্টারে ম্যাচটি দেখেছেন ৬১ মিলিয়ন দর্শক। ক্রিকেটে ডিজিটাল দর্শক সংখ্যার দিক থেকে যা রেকর্ড। আইসিসি তাদের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
ফাইনাল ম্যাচটি টিভি ইতিহাসে (আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচের বাইরে) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত ওয়ানডে হিসেবেও উঠে এসেছে। টিভিতে ২৩০ মিলিয়ন এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ৫৩ বিলিয়ন মিনিট লাইভ দেখেছে মানুষ। অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়েও উন্মাদনা ছিল চরমে। ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ দেখেন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর খেলা। কেবল টিভির কল্যাণেই ২৬ বিলিয়ন মিনিট দেখা হয়েছে এই দ্বৈরথ। যা ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপকেও ছাড়িয়ে গেছে। সেই ম্যাচের ভিউয়ারশিপ ছিল ১৯.৫ বিলিয়ন মিনিট। সবমিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচের কল্যাণে টেলিভিশন রেটিংয়ের হার ছিল ১০.৮ শতাংশ বেশি।
আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেন, ''আট বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রত্যাবর্তনটা দারুণ ছিল। ভারতের দর্শক সংখ্যাও অতুলনীয়। বিশেষ করে ভারত-নিউজিল্যান্ড ফাইনাল দেখেছেন বহু মানুষ। অবিশ্বাস্য এই দর্শক সংখ্যাই বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতে ক্রিকেট কতটা জনপ্রিয়। আইসিসি ইভেন্টগুলিকে নানা ভাষাভাষী দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেয়। এর মাধ্যমে বহু মানুষ সংযুক্ত হতে পারছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিপণন কৌশলেও সাফল্য স্পষ্ট। যা বাড়তি উদ্দীপনা তৈরি করছে। এভাবেই তৈরি হচ্ছে নতুন ফ্যানবেস।"