সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক মাওবাদী হামলায় বিপর্যস্ত নিরাপত্তাবাহিনী। তাই পাল্টা ব্যবস্থা নিতে এবার ছত্তিসগঢ়ের সুকমায় গেরিলা যুদ্ধে পারদর্শী ২০০০ কোবরা কমান্ডো মোতায়েন করতে চলেছে সিআরপিএফ। মাও অধ্যুষিত সুকমা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর উপর থেকে থেকেই হামলা চালাচ্ছে মাওবাদীরা। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু জওয়ান। এপ্রিলের ২৪ তারিখ সুকমায় নিরাপত্তাবাহিনীর উপর এক ভয়ানক হামলা চালায় মাওবাদীরা। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৫ জওয়ান। একই ভাবে মার্চের ১১ তারিখ মাওবাদীদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছিল ১২ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে।
[শরীরই সেরা সম্পদ, তাকে ভালবাসার বার্তা লাস্যময়ী সুস্মিতার]
নিরাপত্তা মহলের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, মাও-সন্ত্রাস নির্মূল করতে একটি ‘ব্লুপ্রিন্ট’ তৈরি করা হয়েছে। মাওবাদীদের নিকেশ করতে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, তেলেঙ্গানা ও মধ্যপ্রদেশ থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কোম্পানি কোবরা কমান্ডো এনে বস্তার এলাকায় মোতায়েন করা হবে। উল্লেখ্য, একটি কোবরা কোম্পানিতে প্রায় ১০০ জন কমান্ডো থাকে। কমান্ডো ঘাঁটি থেকে কোবরা জওয়ানদের হেলিকপ্টারে করে সুকমায় নিয়ে আসা হবে। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, শত্রু ঘাঁটি গুড়িয়ে দিতে কোবরা কমান্ডোদের বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নিরাপত্তাবাহিনীর মারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে কোবরাদের আনা হচ্ছে। গেরিলা ও জঙ্গলে যুদ্ধে পারদর্শী ওই কমান্ডোরা গভীর জঙ্গলের মধ্যে থাকা মাওবাদীদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেবে।
[রাজনাথের বৈঠকের আগেই কলকাতা থেকে সরল CRPF-এর সদর দপ্তর]
প্রতিবছর গরমের সময় নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ করে ‘ট্যাকটিকাল কাউন্টার অফেন্সিভ ক্যাম্পেইন’ শুরু করে মাওবাদীরা। উদ্দেশ্য যত সম্ভব তত জওয়ানদের হত্যা করে তাঁদের অস্ত্র লুট করা। স্থানীয়দের থেকে জওয়ানদের গতিবিধি সম্পর্কে জেনে জওয়ানদের অসতর্ক মুহূর্তে সময় হামলা চালায় মাওবাদীরা। এই মুহূর্তে মাওবাদীদের মোকাবিলায় ছত্তিসগঢ়ে রয়েছে ৪৪টি কোবরা কমান্ডো টিম। ওই কমান্ডোদের মূলত বস্তর প্রদেশের মাও অধ্যুষিত সুকমা, দান্তেওযাড়ার মতো জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মাও-সন্ত্রাস দমনে কার্যপন্থা ঠিক করতে সোমবার ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
[জোর করে ভারতীয় যুবতীকে বিয়ে করে ধর্ষণ পাক যুবকের]
The post মাও দমনে সুকমায় নামছে ২০০০ কোবরা কমান্ডো appeared first on Sangbad Pratidin.