সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার অশান্তি ছড়াল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) নিমুচ শহরে। সেখানে একটি দরগার কাছে হনুমান মূর্তি স্থাপনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। ঘটনার পর শহরে কার্ফু জারি হয়েছে। আপাতত গৃহবন্দি এলাকার মানুষ। ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে দরগার পাশে হনুমান মূর্তি স্থাপনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। সমস্যাটি নিয়ে দু’পক্ষকে আলোচনায় আসতে বলে পুলিশ। যদিও সেই কথায় কান দেয়নি তারা। আচমকা শুরু হয় পাথর-বৃষ্টি। গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে বুঝতে পেরে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: এখনও চালু হয়নি 5G, তার আগেই 6G পরিষেবা শুরুর ডেডলাইন ঘোষণা মোদির]
এই ঘটনায় এখনও অবধি ৯ জনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিমুচের পুলিশ প্রধান সুরজ কুমার ভর্মা জানিয়েছেন, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে একজন পুলিশ আধিকারিক আহত হয়েছেন। তবে সাধারণ মানুষ আহত হননি। যদিও অশান্তি এড়াতে নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেরোতে বারণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এদিকে যারা সোমবার রাতে সংঘর্ষ বাধিয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধর্মীয় স্থানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা তা দেখতে এলাকার ভিডিওগ্রাফি করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীর মতোই মথুরার ইদগাহ মসজিদে হিন্দুধর্মের বহু নিদর্শন! ভিডিওগ্রাফির দাবিতে মামলা]
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী-সহ বেশ কিছু রাজ্যে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়ায়। এরপর ইদের সময়েই গো-বলয়ের বেশ কিছু রাজ্যে অশান্তি হয়েছিল। এদিকে মহারাষ্ট্রে চলছে আজান বিতর্ক। এরই মধ্যে গতকাল জ্ঞানবাপী মসজিদের জলাশয়ে শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে দাবি উঠেছে। সেখানে ভিডিওগ্রাফির পর আদালতে এমন দাবিই করেন এক আইনজীবী। এরপর মথুরা নিয়েও একই দাবি উঠেছে আজ। বিরোধী দলগুলি যতই দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলুক শেষ পর্যন্ত ধর্মীয় বিষয়গুলিই প্রধান হয়ে উঠছে।