সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিজে থেকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক পরিবর্তনের ফলে কাশ্মীরে কোনও বড় বিক্ষোভের খবর নেই। তবে, কিছু বিচ্ছিন্ন বিক্ষোভের কথা স্বীকার করা হয়েছে মন্ত্রকের তরফে। কিন্তু, তাতেও যেন আশ্বস্ত হতে পারছে না কংগ্রেস।
শনিবার সভাপতি নির্বাচনের জন্য জরুরি বৈঠক ছিল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির। দিনভর দফায় দফায় চলে বৈঠক। রাতে যখন সভাপতি নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা চলছে। তখন হঠাৎই চলে আসে কাশ্মীর প্রসঙ্গ। দেখানো হয় কাশ্মীরের কিছু ক্লিপিংস। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দাবি করেন, কাশ্মীর থেকে অশান্তির খবর আসছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।এদিকে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি দাবি করেছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের উপত্যকায় ঢুকতে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: গান্ধীদের গণ্ডিতেই আটকে কংগ্রেস, অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া
এমনিতে সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় থাকবেন না বলে দুপুরেই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান রাহুল। সন্ধেবেলা তিনি চলে যান দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের স্মরণসভায়। সেখান থেকে হঠাৎই রাতের দিকে আবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে হাজির হন রাহুল। ততক্ষণে বৈঠক শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির অকস্মাৎ আগমন উপস্থিত সাংবাদিকদের বেশ অবাকই করেন। জল্পনা ছড়ায় তবে কী পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নিচ্ছেন রাহুল গান্ধী? কিন্তু, ঘণ্টাখানেক পরই বৈঠক থেকে বেরিয়ে রাহুল সব জল্পনায় জল ঢেলে বলেন।”ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে হঠাৎ কাশ্মীর ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু হয়। তাই আমাকে ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে কিছু ক্লিপিং দেখানো হয়েছে। সভাপতি নির্বাচন বৈঠক আবারও শুরু হয়েছে।”
আরও পড়ুন: কর সন্ত্রাসের অভিযোগ সরাসরি অর্থমন্ত্রীকে, মমতার ধাঁচে ‘আমাকে বলো’ কর্মসূচি নির্মলার
কংগ্রেস নেতার দাবি, কাশ্মীরে ঠিক কী পরিস্থিতি, উপত্যকায় কী চলছে, এসব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিবৃতি দিতে হবে। রাহুল বলেন, “আমাকে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের মধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে তলব করা হয়েছিল। কারণ, কাশ্মীর থেকে কিছু খবর এসে পৌঁছেছে। জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি ঠিক নেই। কাশ্মীরের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ঠিক কী হচ্ছে তা প্রধানমন্ত্রীকে স্পষ্ট করতে হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চাই।”
শুধু তাই নয়, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিও একটি প্রস্তাব পাশ করে। তাতে কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরে যেভাবে সংবাদমাধ্যমকে ‘ব্ল্যাক আউট’ করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক নেতাদের জেলবন্দি করা হচ্ছে তাতে উদ্বিগ্ন কংগ্রেস। বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিদের কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি দিতেই আবেদন করা হয়েছে।
The post বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের কাশ্মীরে ঢুকতে দিতে হবে, দাবি কংগ্রেসের appeared first on Sangbad Pratidin.