অর্ণব আইচ: কল সেন্টারের নামে প্রতারণা চক্র ফাঁস বেহালায়। সূত্র মারফত খবর পেয়ে অভিযানে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের থেকে বেশ কয়েকটি কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে ধৃত ব্যক্তিরা নিজেদের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দিত। বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণা করছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানতে পেরেছে ফোন মারফত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের ইন্টারনেট পরিষেবায় গোলযোগের কথা বলে তা উন্নতির আশ্বাস দেয় প্রতারকরা। সেই সুযোগে বিদেশি নাগরিকদের ব্যাঙ্ক ও এটিএম কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নেয়। তার পরই ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব করে দেওয়া হত টাকা।
[আরও পড়ুন: এক লাইনে লোকাল ও বন্দে ভারত! স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থায় তা স্বাভাবিক বলল রেল]
সেই খবর আসছিল বেহালা থানার পুলিশের কাছে। তার পরই অভিযান চালায় পুলিশ। ধৃতদের থেকে একাধিক কম্পিউটার, হার্ড ডিস্ক, ইয়ার ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতীয় আইন অনুসারে ৬১(২)/৩১৯(২), ৩৩৮/৩৩৬(৩)-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বেহালা থানার পুলিশ। এই চক্রের মূল শিকড় কোথায় তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
এর আগেও কলকাতায় বসে ভিনদেশের বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রতারণার ঘটনা সামনে এসেছে। কয়েক বছর আগে আমেরিকা, কানাডার নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা চক্র ফাঁস করে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা। সেবার একবালপুরের বাসিন্দা অমিত সিংহ এবং বেহালার বাসিন্দা রাজদীপ গঙ্গোপাধ্যায় নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছিল, ই-কমার্স সাইট হ্যাক করে আমেরিকা ও কানাডার গ্রাহকদের তথ্য জোগাড় করত অভিযুক্তরা। যারা আই ফোন বুক করেছে বেছে বেছে সেই বিদেশিদের টার্গেট করা হত। এর পর ভয়েসওভার প্রোটোকলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বাতিল টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিতেন তাঁরা। টোপে পা দিলে হাতিয়ে নেওয়া হত বিদেশি গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য। তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, এভাবেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব করে দেওয়া হত লক্ষ লক্ষ টাকা।