অর্ণব আইচ: লাদাখ সীমান্তে থাবা বাড়াচ্ছে লালচিন। কাশ্মীরে জেহাদের আগুনে ঘি ঢালছে পাকিস্তান (Pakistan)। এহেন সময়ে সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় সেনাবাহিনীকে আরও ঘাতক করে তুলতে এবার প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার।
[আরও পড়ুন: বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ, অজিত পওয়ারের হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল আয়কর বিভাগ]
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে ‘ডিফেন্স একুইজিশন কাউন্সিল’। সেখানেই সেনাবাহিনীকে অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সাজিয়ে তুলতে ৭ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কাউন্সিল। এই টাকা থেকে সরকারি বিমান নির্মাণকারী সংস্থা ‘HAL’-এর থেকে ১২টি লাইট হেলিকপ্টার কেনা হবে। পাশাপাশি, নৌসেনারা রণতরীর জন্য ভারত ইলেক্ট্রনিক্স থেকে লিংকস ইউ ২ ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেমও ক্রয় করা হবে। একইসঙ্গে ডরনিয়ার বিমানগুলির আধুনিকরণও করা হবে। সবমিলিয়ে, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় জোর দিয়ে দেশীয় সংস্থা থেকে যুদ্ধে জরুরি এই সরঞ্জামগুলি কেনা হবে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশের সেনাবাহিনীর জন্য আরও ১৩ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কেনার প্রস্তাবে সম্মতি দেয় ‘ডিফেন্স একুইজিশন কাউন্সিল’ (ডিএসি)। সেনাবাহিনীর জন্য হাতিয়ার কেনার বরাত খতিয়ে দেখে ছাড়পত্র দেওয়ার কাজ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই কাউন্সিলটি। সেপ্টেম্বর মাসে সেনাবাহিনীর জন্য মোট ১৩ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার হাতিয়ার কেনার প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় ডিএসি। সেই তালিকায় অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে গাইডেড রকেট পর্যন্ত রয়েছে। এই অস্ত্রগুলি হাতে পেলে একযোগে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে দুই ফ্রন্টে লড়াই শুরু হলে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে ভারত।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, অস্ত্রের মোট বরাতের ৮৭ শতাংশ দেশীয় নির্মাতাদের কাছ থেকে কেনা হবে। অর্থাৎ, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হতে প্রায় ১১ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার হাতিয়ার জোগান দেবে দেশীয় সংস্থাগুলি। জানা গিয়েছে, হাতিয়ারের তালিকায় রয়েছে ২৫টি ALH Mark III হেলিকপ্টার। স্থলসেনার জন্য পণ্য ও জওয়ানদের দ্রুত ময়দানে পৌঁছে দিতে এই চপার সক্ষম।