সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সহিষ্ণুতার দিক থেকে বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় এখনও এগিয়ে ভারত। এমনটাই মনে করছেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা। বর্তমানে অরুণাচল প্রদেশে সফরে রয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বুদ্ধ পার্কে এক জনসভায় একথা বললেন তিনি।
[বাল্মীকি বিতর্কে মোদি-অমিত শাহের শরণাপন্ন রাখি সাওয়ান্ত]
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মগুলি ভারতেই বিস্তার লাভ করেছে। একথা জানানোর পাশাপাশি দলাই লামা বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এই সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এখন মানুষের দায়িত্ববোধ খুবই কম। তা সত্ত্বেও ভারত যা কিনা বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ, সেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবচেয়ে বেশি। বহু বছর ধরেই ভারতীয়রা এই পথ দেখিয়ে আসছে।’ সেই সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা সামাজিক জীব। তাই একে-অপরের প্রতি সমবেদনা না থাকলে আমরা কখনই খুশি থাকতে পারব না। আমরা ধার্মিক হই বা না হই একে অপরের প্রতি প্রেম-ভালবাসা থাকা প্রয়োজন।’
[হুইল চেয়ার নেই, তাই হামাগুড়ি দিয়ে স্কুলে যায় এই ছাত্র]
এদিন তিনি ধর্মের নামে যারা সন্ত্রাসবাদকে প্রশয় দিচ্ছে কিংবা প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে মদত দিচ্ছে তাদের সমালোচনা করেও মুখ খোলেন। বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসলিম বা বৌদ্ধ সন্ত্রাসবাদীদের খবর সামনে এসেছে। কিন্তু এখানে একটি কথা বলার আছে। কেউ যদি একবার সন্ত্রাসকে বেছে নেয়, তাহলে সে আর কোনও ধর্মেরই থাকে না। এবার ভেবে নাও, চিন আমাকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়েছে।’ এদিন দলাই লামা মৃত পশুর মাংস খাওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেও সাফ জানিয়ে দেন পশু হত্যাকে কখনই তিনি সমর্থন করেন না।
[কাশ্মীরে তুষারধসে চাপা পড়ল সেনাছাউনি, এখনও অবধি মৃত ৩ জওয়ান]
এদিকে, দলাই লামার অরুণাচল সফরকে ঘিরে ভারতকে হুমকি দিতে চিন এবার নিজেদের সরকারি মুখপত্রকে কাজে লাগাতে শুরু করল৷ দলাই লামার অরুণাচল সফর নিয়ে চিন সরকার বা চিনা বিদেশমন্ত্রক নিজে থেকে তীব্র ভারত বিরোধী হুমকি বার্তা দেয়নি৷ তার বদলে তারা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করল সরকার ও কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত দুটি সংবাদপত্র চায়না ডেইলি ও গ্লোবাল টাইমসকে৷ ওই দুটি পত্রিকার পৃথক পৃথক প্রতিবেদনে ভারতের মুণ্ডপাত করে বলা হয়েছে, দলাই লামাকে নিয়ে ভারত ‘নোংরা খেলা’ বন্ধ করুক৷ ভারত নোংরা খেলা খেললেই মুখের মতো জবাব দেওয়া হবে৷ ইটের বদলে পাটকেল খেতে হবে নয়াদিল্লিকে৷ দলাই লামার অরুণাচল সফরের প্রতিবাদে চিন শীঘ্রই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে৷ এই দুই প্রতিবেদনে ভারতকে হুমকির সুরে বলা হয়েছে, তিব্বত, অরুণাচল ও দলাই লামাকে নিয়ে ভারত উসকানিমূলক আচরণ বন্ধ করুক৷ ভারত যেন উত্তেজনার আগুনে বাতাস না দেয়৷ তখন ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খারাপ হলে তার পুরো দায় নয়াদিল্লিকেই নিতে হবে৷
The post ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সহিষ্ণুতায় সবার থেকে এগিয়ে ভারত’ appeared first on Sangbad Pratidin.