সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের কাছে জেরায় আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে জাকির নায়েকের আঁতাত ও ঘনিষ্ঠতার কথা ফাঁস করল দাউদের ভাই ইকবাল কাসকার। ডি-কোম্পানির সঙ্গে জাকির নায়েকের ‘ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন’-এর দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক লেনদেন রয়েছে। শুধু হাওয়ালার মাধ্যমেই তাদের মধ্যে কোটি কোটি আর্থিক লেনদেন হত। দাউদের সঙ্গে জাকির নায়েকের অনেকবার ফোনে কথা হয়েছে। ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ, দুই সংস্থার গোপন কাজকর্ম এবং রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা হত। এই সব ঘটনা ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ জানে। পুলিশের জেরায় এসব তথ্য কবুল করেছে তোলাবাজির দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া দাউদের ভাই ইকবাল কাসকার।
[জাপানে জেহাদের নয়া ছক জাকির নায়েকের, ফাঁস বিস্ফোরক তথ্য]
কিন্তু ইকবাল এসব জানল কী করে? জবাবে ইকবাল জানিয়েছে, কোকেন সেবন, মদ্যপান-সহ মাদকের নেশা করায় দাউদ খুব কম সময়ই প্রকৃতস্থ থাকে। দাউদকে স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া মুশকিল। দাউদ যখন স্বাভাবিক থাকে তখন নিজের কারবার দেখতেই ব্যস্ত। তাই এসব নিয়ে কোনওদিন দাউদ তার সঙ্গে কোনও কথা বলেনি। সে জেনেছে দাউদের স্ত্রী তথা ‘ভাবিজি’ মেহজবিনের কাছ থেকে। মেহজবিনই তাকে সব জানিয়েছে। কারণ মেহজবিনের সঙ্গে স্কাইপ ও ফেসবুকে চ্যাট করত ইকবাল। ইকবালের এই সব দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্যদিকে, ইকবালের বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয় ও চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে ইডি।
অভিযোগ, উগ্র ইসলামকে ছড়িয়ে দিতে সমাজসেবার আড়ালে চলছে মৌলবাদী নায়েকের কর্মকাণ্ড। প্রলোভন দিয়ে অথবা জোর করে অন্য ধর্মের মানুষকে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করছে তার সংস্থা ‘ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন’বা আইআরএফ। উল্লেখ্য, টেলিভিশনে জেহাদের ডাক দিয়ে লাদেনকে সমর্থন করেছিল জাকির নায়েক। ভারতে টিভি, ফেসবুক-সহ অন্যান্য মাধ্যমে ধর্মীয় অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছিল ওই ধর্মগুরু। অভিযোগ, মনমোহন সিংয়ের ইউপিএ সরকারের আমলে একাধিক বার বিষয়টি উত্থাপন করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ফাঁস হয় নায়েকের কর্মকাণ্ড। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু কেড়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ) ও ইডি। তারপর থেকেই দেশ ছাড়া ওই বিতর্কিত ধর্মগুরু।
[দাউদের গোপন ঠিকানা ফাঁস করে দিল খোদ তার ভাই]
The post জাকির নায়েককে টাকা জোগাত দাউদ, জেরায় কবুল ইকবালের appeared first on Sangbad Pratidin.