সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ীকে হুমকি ফোনে জোর করে তোলা চাওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিমের ছোট ভাই ইকবাল কাসকারকে।
সোমবার রাতে মুম্বইয়ের নাগপাড়া এলাকা থেকে কাসকারকে গ্রেপ্তার করেন দুঁদে পুলিশকর্তা প্রদীপ শর্মা। প্রদীপ মুম্বই পুলিশের নামজাদা এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট। সম্প্রতি বদলি হয়ে আসেন থানের ‘অ্যান্টি এক্সটর্শান সেল’-এ। শর্মার কাছে অভিযোগ এসেছিল যে, বিগত বেশ কিছু দিন ধরে তোলা চেয়ে এক ব্যবসায়ীকে ফোন করে হুমকি দিয়ে চলেছে কাসকারের গ্যাংয়ের সদস্যরা। শেষপর্যন্ত ওই ব্যবসায়ী সাহায্য চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। এর পরই কাসকারকে ধরতে অভিযানে নামে প্রদীপ শর্মার নেতৃত্বাধীন থানের ‘অ্যান্টি এক্সটর্শান সেল’-এর পুলিশ বাহিনী। মেলে সাফল্যও। রাতেই কাসকারকে জেরা শুরু করেছে পুলিশ।
[উর্দি ফিরে পাচ্ছেন গ্যাংস্টারদের আতঙ্ক ‘এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট’ প্রদীপ শর্মা]
সারা সাহারা অবৈধ নির্মাণ মামলা ছাড়াও আরও একটি খুনের মামলায় ‘ওয়ান্টেড’ কাসকারকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ২০০৩ সালে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হয়। বেশ কিছু রিয়েল এস্টেট এজেন্টদের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের জন্য ওয়ারেন্ট ছিল কাসকারের নামে। কিন্তু ২০০৭ সালে খানিকটা অভাবনীয়ভাবেই দুটি মামলায় অব্যাহতি পেয়ে যায় সে। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অন্য একটি তোলাবাজির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে যায় কাসকার।
দাউদ এবং ইকবালের এলাকা বলে পরিচিত ডোংরি, পায়ধোনি, ভিন্ডি বাজার ও নাগপাড়ায় কাসকারের গ্যাং বেশ কিছু অবৈধ বাড়ি নির্মাণ ও তোলাবাজির মামলায় জড়িত। সম্প্রতি আবার ওই সব এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছিল কাসকার ও তার শাগরেদরা। গত সপ্তাহেই সম্পূর্ণ অন্য কারণে খবরের শিরোনামে এসেছিল দাউদের এই ভাই। প্রায় ভগ্নস্তূপে পরিণত হওয়া কাসকারের মুম্বইয়ের দুটি বাড়ি অর্থাৎ ভিন্ডি বাজারের দামারওয়ালা বিল্ডিং এবং জে জে মার্গের শবনম গেস্ট হাউস দু’টিই খালি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। দাউদের বোন, প্রয়াত হাসিনা পার্কারও আগে ওই দামারওয়ালা বিল্ডিংয়েই থাকতেন।
[উত্তর কোরিয়ার আকাশে লাগাতার টহল মার্কিন যুদ্ধবিমানের]
প্রসঙ্গত, এক-দুজন নয় একেবারে ১১৩ জন কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে নিকেশ করেছেন মুম্বই পুলিশের সিনিয়র ইন্সপেক্টর প্রদীপ শর্মা। তাঁর খতমের তালিকায় রয়েছে কুখ্যাত মাফিয়া লখন ভাইয়া। আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজনের দলের লোক ছিল লখন। তারপরই ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ‘ফেক এনকাউন্টার’ করার অভিযোগ উঠে। শুরু হয় তদন্ত। তদন্তকারীরা জানান, ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল শর্মার। ২০০৮ সালে পুলিশ থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। ২০১৩ সালে প্রদীপ শর্মাকে নির্দোষ বলে মুক্তি দেয় আদালত। তারপরই আগস্ট মাসে তাঁকে ফের পদে বহাল করা হয়। বহাল হয়েই দাউদের গড়ে হানা দিয়েছেন তিনি। তাহলে কি ফের পুলিশ-গ্যাংস্টার সংঘর্ষে রক্তাক্ত হবে মুম্বই? উঠছে এমন প্রশ্নই।
The post মুম্বইয়ে ধৃত কুখ্যাত ডন দাউদের ভাই ইকবাল কাসকার appeared first on Sangbad Pratidin.