সুমন করাতি, হুগলি: হুগলিতে জোড়া রহস্যমৃত্যু। একই ঘর থেকে দম্পতির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির শ্রীরামপুর থানা এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীরামপুর থানার নেহেরু নগর কলোনিতে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন প্রৌঢ়। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা বলে দাবি প্রতিবেশীদের।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা হলেন বিশ্বজিৎ দে (৫৭) ও সন্ধ্যা দে (৪৮)। তাঁরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। এদিন বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় বিশ্বজিতের দেহ উদ্ধার করে। একই ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল তাঁর স্ত্রীয়ের দেহ।
[আরও পড়ুন: ‘বাড়তি আর ১ দিনও নয়’, অভিষেক মামলায় ইডিকে নথি পেশের সময় বেঁধে দিল আদালত]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ বিমা সংস্থার কর্মী ছিলেন। মৃত দম্পতির দুই ছেলে। বড় ছেলে দেবজিৎ স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে আলাদা বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ছোট ছেলে দেবাদিত্য থাকতেন বাবা-মায়ের সঙ্গে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীয়ের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করে পরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী।
বড় ছেলের বউ শিবানি দে জানিয়েছে, বুধবার রাতেও সব স্বাভাবিক ছিল। সকালে শ্বশুর, শাশুড়ি ফোন না ধরায় বাড়িতে আসেন তাঁরা। এসে দেখেন, দরজা বন্ধ। এরপর পড়শিরা পুলিশকে খবর দিলে তারা দরজা ভেঙে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রতিবেশীদের একাংশের কথায়, বাড়ির ছোট ছেলেকে নিয়ে পরিবারে অশান্তি ছিল। সেই কারণেই এই ঘটনা। যদিও সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।