শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: কুয়োর ভিতর স্কুল ব্যাগ। জল থেকে তুলে ব্যাগের ভিতর নজর যেতেই তাজ্জব প্রায় সকলে। কারণ, ব্যাগের ভিতরে ছিল শিশুর দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জলপাইগুড়ির ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ নগরে জোর হইচই। কে বা কারা একাজ করল, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জলপাইগুড়ি শহরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ নগর এলাকায় বাস তাপসী সাহার। অন্যান্য দিনের মতো সোমবার সকালেও নিজের বাড়ি কুয়ো থেকে গেরস্থালির কাজে ব্যবহারের জন্য জল তুলছিলেন। আচমকাই খেয়াল করেন কুয়োর ভিতর একটি স্কুল ব্যাগ ভেসে উঠেছে। তিনি ওই ব্যাগটি কুয়ো থেকে উপরে তোলেন। ব্যাগ খুলতেই আঁতকে ওঠেন। দেখেন ব্যাগের ভিতর রয়েছে শিশুর দেহ।
[আরও পড়ুন: ‘মানি, গুনস অ্যান্ড গানস ফর বিজেপি’, জলপাইগুড়িতে বিপুল টাকা উদ্ধারে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর]
চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন মহিলা। ব্যাগের ভিতর শিশুর দেহ উদ্ধারের ঘটনা জানাজানি হয়ে যায় সর্বত্র। প্রতিবেশীরা ভিড় জমান এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই ব্যাগ এবং ব্যাগের ভিতরে থাকা শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা ব্যাগের ভিতর শিশুর দেহ ভরে কুয়োয় ফেলল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই ধরনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, কেউ বাড়িতে থাকাকালীন ব্যাগে শিশুর দেহ ভরে কুয়োয় ফেলা সম্ভব নয়। কে কখন বাড়িতে আছে তা জেনেই কুয়োয় শিশুর দেহ ফেলা হয়েছে। গৃহকর্তার খুব পরিচিত কোনও ব্যক্তি হয়তো একাজ করেছে বলেই অনুমান স্থানীয়দের। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।