shono
Advertisement

জীবিত রোগীকে মৃত ঘোষণা! কাঠগড়ায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল

হাসপাতালে পরিজনদের দেখতে পেয়ে নাম ধরে ডাক দেন রোগী। তারপর...
Posted: 01:53 PM Apr 16, 2021Updated: 01:53 PM Apr 16, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল থেকে করা ফোনে এমনটাই জানানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে তাড়াতাড়ি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Calcutta National Medical College and Hospital) যান আত্মীয়রা। কিন্তু সেখানে গিয়েই চক্ষু জোড়া চড়কগাছে ওঠার উপক্রম হয়। যাঁকে মৃত বলে জানানো হয়েছিল, সেই রোগী দিব্যি বেঁচে রয়েছেন। দেখে আশ্চর্য হয়ে যান সকলে।

Advertisement

অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজের কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি ছিলেন ৫০ বছরের সাবির মোল্লা। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে তাঁর বাড়িতে ফোন করা হয়। জানানো হয় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গোটা বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। দুঃসংবাদের প্রাথমিক ধাক্কা সামলে হাসপাতালে যান সাবির মোল্লার পরিবারের সদস্যরা। মর্গে যাওয়ার পথে আচমকা চেনা কন্ঠের ডাক শুনতে পান। পিছনে ঘুরতেই হতবম্ব হয়ে যান সকলে। এ তো সাবির মোল্লা! যাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল সেই মানুষটাই জীবিত শরীরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।

[আরও পড়ুন: শীতলকুচি কাণ্ডে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সিআইডি’র কাছে রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের]

হাসপাতাল কর্মীদের সাফাই, চোখের ভুলেই এই গাফিলতি হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। আপাতত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সাবির মোল্লা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তাঁকে জীবিত দেখে পরিবারের সদস্য খুশি তো হয়েছেন। তবে হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন। এই গাফিলতির শাস্তি চেয়েছেন তাঁরা।

আরও একটি ঘটনা নিয়ে এদিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে শোনা গিয়েছে। চিকিৎসক স্বামীকে দীর্ঘক্ষণ অ্যাম্বুল্যান্সে ফেলে রাখার অভিযোগ জানান শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের এক নার্স। দীপা সরকার নামের ওই নার্সের অভিযোগ, তাঁর স্বামী ধনঞ্জয় সরকারকে রামপুরহাট হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আসার পর জানানো হয় কোনও বেড খালি নেই। প্রায় আধঘণ্টা ধরে অ্যাম্বুল্যান্সে পড়েছিলেন চিকিৎসক। এরপরই দীপা দেবী চিৎকার করে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলতে থাকেন, তিনি নিজে স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁর স্বামী চিকিৎসক। তাতেও এই অবস্থা। সাধারণ রোগীদের কী পরিণতি হচ্ছে? শোনা গিয়েছে, দীপা দেবীর ক্ষোভ প্রকাশের পরই কিছুক্ষণবাদেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

[আরও পড়ুন: কমেছে অসুস্থতা, লাইনে দাঁড়িয়েই ভোট দিতে চান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement