সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবারের এক সদস্যার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়েছিলেন প্রত্যেকেই। সমস্ত রীতি-নীতি মেনে তাঁর সৎকারও করেন বাড়ির লোকেরা। তারপর শোকের আবহেই দিন চারেক কেটে যায়। কিন্তু এরপর ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। পরিবারের সামনে এসে দাঁড়ান মৃতা! ভূত দেখার মতোই চমকে যান সক্কলে! এখন ভুল দেখছেন নাকি চারদিন আগে কোনও ভুল হয়েছে, ভেবে কূল করতে পারেন না কেউই।
[দু’বছর আগে গণধর্ষিতা, ফের যৌন হেনস্তার শিকার সেই নাবালিকাই]
গত ১৫ ডিসেম্বর নয়না নামের মহিলার ‘মৃত্যু’ হয়েছিল। আচার মেনে শেষকৃত্যও সম্পন্ন হয়। কিন্তু ১৯ তারিখ ফিরে আসেন নয়না। পাটিয়ালার এমন ঘটনায় আতঙ্কের পাশাপাশি কৌতূহলও জেগেছে মানুষের মনে। মৃত কীভাবে ফিরে আসতে পারেন? এমনটা কীভাবে সম্ভব! এ প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন সকলে। তখনই কাজে নামে পুলিশ। আসলে গত ১১ ডিসেম্বর পাটিয়ালার বাইপাসের ধার থেকে একটি বস্তাবন্দি পচা-গলা দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই দেহ উদ্ধারের ঠিক তিনদিন আগে অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর নয়না নামের এক যুবতী নিরুদ্দেশ হয়ে যান। মৃতের পরিচয় জানতে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ১৪ ডিসেম্বর নয়নার বাড়ির সদস্যরা দেহটি দেখে জানান, ইনিই তাঁদের হারিয়ে যাওয়া মেয়ে। পরিবারের দাবির ভিত্তিতেই তাঁদের হাতে মৃতদেহ তুলে দেয় পুলিশ। পরের দিনই নয়নার সৎকার সম্পন্ন হয়। কিন্তু অবশেষে বোঝা যায়, মরদেহ চিনতে ভুল করেছিলেন পরিবারের লোকেরাই।
[নিজের দেশকে অসম্মান করছেন নাসিরুদ্দিন, ‘অসহিষ্ণুতা’র অভিযোগে ক্ষুব্ধ রামদেব]
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ছিল, প্রেমিকের সঙ্গে হয়তো বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন যুবতী। সেই ব্যক্তিই নয়নাকে খুন করে ফেলে রেখে যায়। কিন্তু ১৯ ডিসেম্বর ওই ব্যক্তির সঙ্গেই নয়না বাড়ি ফিরে এলে ধোঁয়াশা কাটে। ফলে দেহটি কার, তা ফের খতিয়ে দেখছে পুলিশ। থানা সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের পর জানা গিয়েছে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে মহিলাকে। সৎকারের আগে মৃতার ডিএনএ এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে রাখা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগোচ্ছে।