অর্ণব আইচ: দক্ষিণ কলকাতার (Kolkata) অভিজাত এলাকার গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার হল এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ। সোমবার রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন গেস্ট হাউসের কর্মীরা। খবর জানানো হয় পুলিশকে। ভবানীপুর থানার (Bhabanipur PS) পুলিশের পাশাপাশি রহস্যঘেরা মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নেমেছে লালবাজারের (Lalbazar) হোমিসাইড শাখাও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ল্যান্ডফোনের তার জড়িয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে। তার আগে কোটি টাকার মুক্তিপণ (Ransome) চেয়ে ব্যবসায়ীর পরিবারকে ফোন করা হয়েছিল বলেও খবর। ঘটনা ঘিরে শোরগোল এলগিন রোড এলাকায়। টাকাপয়সা নিয়ে ঝামেলার জেরে খুন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে এলগিন রোডের গেস্ট হাউস থেকে শান্তিলাল বৈদ নামে ওই ব্যবসায়ীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন কর্মীরা। তিনি স্বর্ণ ব্যবসায়ী। বাড়ি এলগিন লাগোয়া লি রোডে। জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। সন্ধে নাগাদ ভবানীপুর থানায় নিখোঁজ ডায়রি (Missing Diary) দায়ের করা হয়। এরপর রাতের দিকে বাড়ি থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে গেস্ট হাউস থেকে শান্তিলালের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর গলায় দাগ মিলেছে। প্রাথমিক অনুমান, গলায় তার জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তার আগে বাড়িতে ফোন করে কোটি টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই অঙ্ক কমিয়ে ২৫ লক্ষ দাবি করা হয়।
[আরও পড়ুন: অনেকটাই নিম্নমুখী দেশের কোভিড গ্রাফ, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ৩০ হাজারেরও কম]
গেস্ট হাউসের কর্মীদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমবার বিকেল নাগাদ এক যুবকের সঙ্গে ওই গেস্ট হাউসে চেক ইন করেছিলেন শান্তিলাল বৈদ। ওই যুবক ব্যবসায়ীকে কাকা বলে পরিচয় দেন। এরপর সন্ধেবেলা ওই যুবক গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে যান। ভিতরেই ছিলেন ব্যবসায়ী শান্তিলাল। রাতে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
[আরও পড়ুন: বিদ্রোহে নয়া মোড়! বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক লকেটের]
তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এসেছে আরও বেশ কিছু তথ্য। দিল্লির এক যুবকের সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল শান্তিলালের। সোমবার ওই যুবক দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন। অভিযোগ, তিনি মোটা টাকা চেয়ে বারবার ওই ব্যবসায়ীকে চাপ দিচ্ছিলেন। শান্তিলাল তাতে রাজি না হওয়ায় বাকবিতণ্ডা চরমে ওঠে। এরপরই তাঁর বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয় বলে মনে করছে পুলিশ। গেস্ট হাউসের ঘরের টেলিফোনের তার গলায় পেঁচিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। মনে করা হচ্ছে, পরিস্থিতি চরমে উঠলে মেজাজ হারিয়ে ওই যুবক নৃশংসভাবে খুন করে ফেলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যার মামলা রুজু করতে পারে পুলিশ।