সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমস্যার শুরু হয়েছিল ৩ মাস আগে। গৌতম আদানির (Gautam Adani)তাঁর স্বপ্নের ভিজিঞ্জম মেগা পোর্ট প্রকল্পের নির্মাণকাজ থমকে গিয়েছিল তখন থেকেই। এক মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের প্রতিবাদেই আদানির স্বপ্নের ৯০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আরও জটিল। এবার বিক্ষোভকারীরা আদানির ট্রাকগুলিকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে। আদানির সংস্থার এক মুখপাত্র এমনই দাবি করেছেন।
এই প্রকল্পটি আদানির স্বপ্নের প্রকল্প। এটাই হতে চলেছে দেশের প্রথম কন্টেনার ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট। কিন্তু সেই স্বপ্নের পথে বাধা তৈরি করে গত আগস্ট থেকেই এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে ১২০০ বর্গ ফুটের এক শেল্টার, যার ছাদ লোহার তৈরি। সেখানে ঝুলছে ব্যানার। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অনির্দিষ্ট কালের জন্য দিনরাতের প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন আন্দোলনকারীরা। কেবল মুখের কথাই নয়, আদানির সংস্থার ২৫টি ট্রাককে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ট্রাককে পাথরও ছুঁড়তে দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
[আরও পড়ুন: আজও কুড়ি বছর আগের আতঙ্ক তাড়া করে গুজরাট দাঙ্গায় ‘অত্যাচারিত মুখ’ কুতুবউদ্দিনকে!]
এমন যে হতে পারে সেই সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছিল। রাস্তাতে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছিল বন্দরের সমর্থকদেরও। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিজেপি সমর্থকরা। পাশাপাশি অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী দলের সদস্যরাও ছিলেন সেখানে। যদিও দু’তরফেই সংখ্যাটা কম, তবুও যে কোনও মুহূর্তেই পরিস্থিতি হাতে বাইরে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় এখানে মজুত রাখা হয়েছিল প্রায় শ তিনেক পুলিশ কর্মীদের। জানা গিয়েছিল, পুলিশ পুরো পরিস্থিতির দিকেই নজর রেখে চলেছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে রীতিমতো থমথমে।
স্বাভাবিক ভাবেই এহেন পরিস্থিতিতে অস্বস্তিতে পড়েছেন পৃথিবীর তৃতীয় ধনী ব্যক্তি আদানি। কেরলের হাই কোর্ট বারবার নির্মাণকাজ শুরু করতে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরানোর চেষ্টা করেনি। কেননা পুলিশের ধারণা, তেমন কিছু করতে গেলেই এলাকায় সামাজিক ও ধর্মীয় দিক দিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাককে আক্রমণ করার ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হল।