অর্ণব আইচ: ট্যাক্সিতে তুলে মূক ও বধির তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার চালক। ধৃতের নাম কামরে আলম। বাইপাসের পঞ্চান্নগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে অভিযুক্তকে। তদন্তে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাইপাসের আনন্দপুর এলাকার একটি ব্যাগের কারখানায় কাজ করেন মূক ও বধির ওই তরুণী। অভিযোগ, গত ২৫ জানুয়ারি রাত আটটা নাগাদ কারখানা থেকে বের হয়ে বাইপাসের রাস্তা ধরে হাঁটছিলেন তিনি। সেই সময় ট্যাক্সি নিয়ে কামরে আলম সামনে চলে আসে। গাড়ি থামিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে থাকে। কিন্তু, মূক ও বধির তরুণী সেভাবে সেই কথা উত্তর দিতে পারছিলেন না।
[আরও পড়ুন: প্রেমের টান, সোশ্যাল মিডিয়ার ‘বন্ধু’র সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে গুজরাটে পালালেন রিষড়ার গৃহবধূ]
পুলিশকে তরুণী জানান, আচমকা কামরে তাঁকে জোর করে ট্যাক্সিতে তুলে নেয়। তাঁকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ট্যাক্সির ভিতরেই ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ, তরুণীর কাছে থাকা ৫ হাজার টাকাও নিয়ে নেয় ট্যাক্সিচালক। এরপর তরুণীকে বাইপাসের ধারে এক জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়। কোনও মতে হেঁটে পার্ক সার্কাস স্টেশনে যান তরুণী। ট্রেন ধরে পৌঁছান মগরাহাটে। স্টেশনে নেমে বাজার করে বাড়ি যান তিনি। বাড়িতে গিয়ে বাবাকে সমস্ত কিছু সাংকেতিক ভাষায় জানান।
বাবার সঙ্গে প্রথমে হাসপাতালে যান তরুণী। ২৭ জানুয়ারি প্রগতি ময়দান থানায় অভিযোগ জানান তিনি। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সক্রিয় হয় পুলিশ। ইন্টারপ্রেটরের মাধ্যমে তরুণীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। তারপর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর ট্যাক্সির নম্বর জানা যায়। সেই সূত্র ধরেই, কামরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে পুলিশের জেরার মুখে চালক দাবি করে, মহিলা তার পূর্ব পরিচিত। সে তথ্যই যাচাই করে দেখছে পুলিশ। চালককে নিয়ে গিয়ে পুরো ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে বলেও খবর।