সুবীর দাস, কল্যাণী: মধুচক্রের শিকার তরুণী! হরিণঘাটার এক হোটেলের শৌচাগার থেকে মহিলার অর্ধনগ্ন ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য। আত্মহত্যা নাকি খুন তদন্তে মোহনপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়।
রবিবার ভোরে হরিণঘাটা (Haringhata) এলাকার 'লালকুঠি' নামের একটি হোটেল থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। হোটেলের কর্মীরা দেহটি দেখে স্থানীয় থানায় খবর দেন। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কল্যাণীর জেএনএম পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এক ব্যক্তিকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম জুতিকা চক্রবর্তী। বয়স আনুমানিক ২৫। তিনি অশোকনগর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ওই তরুণী বিবাহিতা বলে জানা গিয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, তরুণীর আট বছরের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। আরও জানা যাচ্ছে ওই তরুণীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। বছর ৪০-এর সঞ্জীব সুর নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁর। হোটেলের কর্মীদের থেকে জানা যাচ্ছে, শনিবার বিকেলে কল্যাণী মোড়ের লালকুঠির হোটেলে সঞ্জীব ও জুতিকা একটি রুম ভাড়া নেন। রাতভর সেখানে থাকেন তাঁরা। সকালে তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের জমি থেকে গাছ চুরি! তদন্তে বনদপ্তর]
জুতিকার মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, তরুণীর গলায়, পিঠে এবং শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের আরও দাবি, জুতিকার উপর অত্যাচারের পর খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে মৃতার পরিবার।
ঘটনায় ওই হোটেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হোটেলটিতে মধুচক্র ও দেহ ব্যবসা চলে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও হরিণঘাটার একাধিক হোটেলে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ, রমরমিয়ে মধুচক্রের ব্যবসা চলার অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এই কান্ড ঘটায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।