সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাণহানির নিরিখে সার্সের ভয়াবহতাকেও ছাপিয়ে গেল করোনা ভাইরাস। মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল মোট ৪২৫ জন। হুবেই প্রদেশে মাত্র চব্বিশ ঘণ্টায় ৬৪ জনের প্রাণ কেড়েছে মারণ চিনা ভাইরাস। কীভাবে মৃত্যু রোখা সম্ভব, তা নিয়েই সন্দিহান চিকিৎসকরা। আতঙ্কে কাঁটা ভারতও।
ইউহান থেকেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। একের পর এক নাগরিক জ্বর, সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন। তাঁদের ভরতি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। তবে মারা যান প্রত্যেকেই। মারণ চিনা ভাইরাসের সংক্রমণে মঙ্গলবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২৫ জন। হুবেই প্রদেশে মাত্র চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ৬৪জনের প্রাণহানি হয়েছে। নতুন করে ২ হাজার ৩৪৫ জনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাস। গোটা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫৫০ জন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, এখনও পর্যন্ত ২০টিরও বেশি দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। চিনের বাইরে ফিলিপিন্স এবং হংকংয়েও প্রাণহানি হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। চিন সরকারের দাবি, করোনা সংক্রমণ রুখতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাস্ক, পোশাকের প্রয়োজন। যদিও ভারতের তরফে গ্লাভস রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই বিপাকে পড়েছে চিনা প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: থামছে না করোনা ভাইরাসের হামলা, আমেরিকার ঘাড়ে দায় চাপাল চিন]
চিনের পাশাপাশি থাইল্যান্ড, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, আমেরিকা, ফ্রান্স ও ভিয়েতনামেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে করোনা ভাইরাস হানা দেওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি, সে তালিকায় ভারতও রয়েছে। হু’র সমীক্ষা বলছে, ঝুঁকির তালিকায় যে দেশগুলি রয়েছে, তার মধ্যে প্রথম নামটি হল থাইল্যান্ড। এরপরেই আছে জাপান। আমেরিকা আছে ৬ নম্বরে, অস্ট্রেলিয়া ১০ নম্বরে, ইংল্যান্ড ১৭ নম্বরে এবং ভারত ২৩ নম্বরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেডরস আধানম ঘেবরেয়েসাস বলেন, “গত কয়েকদিনে যে গতিতে এই ভাইরাস একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে তা সত্যিই অত্যন্ত উদ্বেগের।” তাই গোটা বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
The post মারণ করোনা ভাইরাসের দাপটে চিনে মৃত্যুমিছিল, আকাল চিকিৎসার সরঞ্জামের appeared first on Sangbad Pratidin.