দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৯১/৫ (ওয়ার্নার- ৫২, পন্থ- ৫১)
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৭১/৬ (রাহানে- ৪৫, ধোনি-৩৭*)
২০ রানে জয়ী দিল্লি ক্যাপিটালস
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ ৯০৩ দিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ঋষভ পন্থের ব্যাট থেকে এল হাফ সেঞ্চুরি। উলটো দিকে চলতি আইপিএলে চেন্নাইয়ের দুই ম্যাচের অপেক্ষা শেষে তৃতীয় ম্যাচে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ব্যাট হাতে দেখা গেল মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। নেমেই বোঝালেন, বয়স সংখ্যামাত্র। সেই পুরনো ছন্দেই হাঁকালেন চার-ছক্কা। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। পর পর দুম্যাচে হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখল পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালস।
দুর্ঘটনার কবলে পড়া পন্থ ১৪ মাস পর ফিরেছেন ক্রিকেটের ২২ গজে। আইপিএলে দিল্লির নেতার দিকে তাই নজর ছিল গোটা ক্রিকেট দুনিয়ার। প্রথম ম্যাচে চেনা ছন্দে দেখা দিলেও বড় রান আসেনি তাঁর ব্যাট থেকে। সেই সঙ্গে প্রথম দুই ম্যাচে পাঞ্জাব আর রাজস্থানের কাছে হারায় ব্যাকফুটে চলে যায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দল। কিন্তু পন্থ তো সহজে হার মানার মানুষ নন। কঠিন সময় পেরিয়ে যেভাবে ক্রিকেটে ফিরেছেন, সেভাবেই দায়িত্ব নিয়ে অধিনায়োকচিত ইনিংস খেললেন। ৩২ বলে ৫১ রান করে বুঝিয়ে দিলেন, ক্ষুধার্ত সিংহের মতোই কামব্যাক করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: দেবজিতের গ্লাভসে বন্দি মোহনবাগান, যুবভারতীতে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জয় চেন্নাইয়ের]
পন্থ নামার আগে অবশ্য দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (৫২) এবং পৃথ্বী শ (৪৩) দিল্লির ভীত মজবুত করে দিয়েছিল। সেই শক্ত মাটিতেই দিল্লি পৌঁছে যায় ১৯১ রানে। তবে তরুণ পাথিরানার প্রশংসা না করলেই নয়। একাই তুলে নেন তিনটি উইকেট। সেই সঙ্গে দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরান ওয়ার্নারকেও। পাথিরানার ফিল্ডিং দেখে হাততালি না দিয়ে থাকতে পারেননি ধোনিও।
দিল্লির জয়ের রাস্তা শুধু ব্যাটাররাই নয়, সহজ করে দেন বোলাররাও। ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। আর মিডল অর্ডারে শিবম দুবে আউট হতেই আসে সেই মুহূর্ত, যার অপেক্ষায় ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। চলতি মরশুমে প্রথমবার ব্যাট হাতে নামলেন ধোনি। কে বলবে তিনি বিয়াল্লিশ? বয়সের বিন্দুমাত্র ছাপ তাঁর খেলায় পড়েনি। তাই তো ৪টে বাউন্ডারি আর ৩টে ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৬ বলে ৩৭ রানের ইনিংস উপহার দিতে পারলেন দর্শকদের। আরও একবার অনুরাগীদের বলার সুযোগ করে দিলেন, "মাহি মার রহা হ্যায়।" তার আগে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়েই অবশ্য একটি রেকর্ড গড়ে ফেলেছিলেন তিনি। প্রথম উইকেটকিপার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৩০০টি আউট করার নজির গড়েন ক্যাপ্টেন কুল।
ম্য়াচের ফল তাই যাই হোক না কেন, দুই উইকেটকিপারের চেনা ছন্দই এদিন ক্রিকেটের সব লাইমলাইট কেড়ে নিল।