সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুতুব মিনার (Qutub Minar) চত্বরে পুজো করার আবেদন নাকচ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের তরফে বিচারপতি নেহা শর্মা বলেন, ”ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাস খুবই সমৃদ্ধ। বিভিন্ন সময়ে পৃথক পৃথক সাম্রাজ্যের শাসন চলেছে এখানে। অতীতে যে অনেক ভুল, অন্যায় হয়েছে সে কথা কেউ অস্বীকার করছে না। কিন্তু অতীতের ভুলভ্রান্তির উপর ভিত্তি করে দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের শান্তি তো নষ্ট করা যায় না।”
প্রসঙ্গত, কয়েক দশক ধরে মামলা চলার পর সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেওয়ার পর একের পর এক মুসলিম স্থাপত্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কাশী-মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমিতে অবস্থিত মসজিদ নিয়ে আদালতে মামলা হওয়ার পর এবার নজরে দিল্লির সিগনেচার ইসলামিক স্থাপত্য কুতুব মিনারের উপর।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! মেক্সিকোতে ট্রাক উলটে ৫৩ জন বাস্তুহীনের মৃত্যু, আহত বহু]
কিন্তু কেন কুতুব মিনারে পুজো করতে চেয়ে মামলা? আইনজীবী বিষ্ণু এস জৈনের দায়ের করা মামলার আবেদনে জানানো হয়েছে সেকথা। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ওই অঞ্চলে হিন্দু ও জৈনদের মন্দির ছিল। সেই মন্দিরগুলিতে যে দেবদেবীদের পুজো হত, তাঁদের বিগ্রহ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করারও আবেদন করা হয়েছে আদালতে।
আবেদনকারীদের দাবি, এখানে মোট ২৭টি মন্দির (Temple) ছিল। তার মধ্যে অন্যতম জৈন তীর্থঙ্কর ভগবান ঋষভ দেবের উপাসনাস্থল-সহ ভগবান বিষ্ণু, গণেশ, শিব, সূর্য, হনুমান, দেবী গৌরীর মন্দির। ১৮৮২ সালের ট্রাস্ট অ্যাক্ট অনুসারে, কেন্দ্রীয় সরকারকে কুতুব মিনার চত্বরের মধ্যে অবস্থিত মন্দিরের পরিচালনার জন্য ট্রাস্ট গঠন করার নির্দেশ দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে পিটিশনে।
[আরও পড়ুন: দেশজুড়ে চলছে যৌন নির্যাতন, খবর করছে না চিনের গণমাধ্যম, সরব নাগরিকরা]
প্রসঙ্গত, কুতুব মিনার ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’-এর অন্তর্গত। ইঁটের তৈরি মিনারের মধ্যে এটিই বিশ্বের দীর্ঘতম মিনার। দৈর্ঘ্য ৭২.৫ মিটার। এখানে রয়েছে ৩৭৯টি ঘোরানো সিঁড়ি।