সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক তিনি৷ তা সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্টের বাজি নির্দেশিকার বিরোধিতা করেছিলেন। টুইটে বিদ্রোহের সুর চড়ান দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দেবেন্দ্র আর্য৷ সমালোচনার জেরে অবশেষে বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেই ক্ষমা চাইলেন তিনি।
[অযোধ্যায় মসজিদের দাবিতে সুর চড়ালেন কংগ্রেসের এই মন্ত্রী]
বাজি পোড়ানোর ফলে পরিবেশে দূষণের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই বিষয়টি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট৷ ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, যেসব বাজিতে পরিবেশ দূষিত হয় বেশি, তা বিক্রি করা যাবে না। এছাড়াও দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, শুধুমাত্র রাত ৮ থেকে ১০ টা পর্যন্ত এই দু’ঘণ্টা পোড়ানো যাবে বাজি। এরই বিরোধিতায় একটি টুইট করেন দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দেবেন্দ্র আর্য। টুইটটিতে তিনি লেখেন, ‘‘বাজি পোড়ানোর জন্য আপনি জেলেও যেতে পারেন। ভাবতে পারিনি এমনও দিন আসবে। এটাই কি আমার ভারত, যেখানে আমি থাকি?” এই টুইটের পরই তাঁর বিরুদ্ধে সরব হন নেটিজেনরা৷ অনেকেই বলতে থাকেন, যাঁদের হাতে আইন রক্ষার দায়িত্ব, তাঁরাই এরকম আইনবিরুদ্ধ কথা বলছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করছেন। তাহলে সাধারণ মানুষ কেন আইন মানতে যাবে? তারাও এর বিরুদ্ধ কাজই করবে। নিজের মন্তব্যের এই বিরোধিতা দেখে টুইটটি মুছে ফেলেন তিনি। এরপর ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পালটা একটি টুইট করেন ডেপুটি কমিশনার দেবেন্দ্র। তাতে তিনি লেখেন, ‘‘আমি মুহূর্তের আবেগের বশে এই কথা লিখে ফেলেছি। আমি কখনওই দেশের শীর্ষ আদালতের বিরোধিতা করতে চাইনি। এ ধরনের কথা বলার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।”
[চাপ কমাতে সদর দপ্তরেই ‘আর্ট অফ লিভিং’-এর পাঠ সিবিআই আধিকারিকদের]
যদিও তাতে মুখ বন্ধ হয়নি নেটিজেনদের৷ দিল্লির পরিবেশে দূষণের মাত্রা বেশি থাকার কারণ এবার স্পষ্টভাবে বোঝা গেল বলেই ডেপুটি কমিশনারকে কটাক্ষ করেন অনেকে৷ পরিবেশবিদরাও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তার এই বিরোধী মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।
The post বাজি ইস্যুতে সুপ্রিম রায়ের সমালোচনা, বিতর্কে ডেপুটি কমিশনার appeared first on Sangbad Pratidin.