সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভগৎ সিং, সুখদেব, রাজগুরু। দেশকে স্বাধীন করতে প্রাণ দিয়েছিলেন যে সমস্ত সংগ্রামী, তাঁদের মধ্যে এই তিনজন ছিলেন অন্যতম। অবিলম্বে তাঁদের যেন শহিদ আখ্যা দেওয়া হয়। এই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে একটি পিটিশন জমা দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু সোমবার সেই পিটিশন খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, আদালত এভাবে কাউকে শহিদ আখ্যা দিতে পারে না।
[রূপানির গদি টলমল, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে স্মৃতি ইরানি?]
১৯২৮ সালে ব্রিটিশ পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট ভেবে এক জুনিয়র পুলিশ অফিসার জন স্যান্ডার্সকে গুলি করেছিলেন ভগৎ সিং এবং রাজগুরু। বর্তমানে পাকিস্তানের অন্তর্গত লাহোরে ওই ইংরেজ অফিসারকে হত্যা করেছিলেন এই দুই স্বাধীনতা সংগ্রামী। এরপরই ব্রিটিশ সরকার তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড আরউইনের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। আর সেই ট্রাইব্যুনালই ভগৎ সিং, রাজগুরু এবং সুখদেবকে ফাঁসির সাজা শোনায়। আর ১৯৩১ সালে লাহোর জেলে এই তিন দেশপ্রেমিককে ফাঁসি দেওয়া হয়।
[পার্কিংয়ে গলদ, এবার চণ্ডীগড়ে ঘুমন্ত কিশোর-সহ গাড়ি তুলে নিয়ে গেল পুলিশ]
এহেন তিন স্বাধীনতা সংগ্রামীকে ‘শহিদ’ অ্যাখা দেওয়ার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন অ্যাডভোকেট বীরেন্দর সাঙ্গওয়ান। তিনি নিজের পিটিশনে বলেন, ‘দেশের জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই শহিদ অ্যাখ্যা দেওয়া উচিত। এটা তাঁদের অধিকার এবং এর মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উপযুক্ত সম্মানও দেওয়া হবে।’ তবে সেই আবেদনের শুনানিতেই আদালত বীরেন্দরকে পালটা প্রশ্ন করে, ‘আদালতের পক্ষ এ ধরনের ঘোষণা আদৌ করতে পারে কি? ভারতীয় সংবিধানে সেরকম কোনও নিয়ম আছে?’ আদালতের এই প্রশ্নের উত্তর ওই আবেদনকারী দিতে না পারায়, প্রধান বিচারক গীতা মিত্তাল এবং বিচারক সি হরিশঙ্করের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘এই পিটিশন খারিজ করা হচ্ছে। আমরা এ ধরনের কোনও নির্দেশ দিতে পারি না।’
[গুজরাটে গড়রক্ষা বিজেপির, সেলিব্রেশনে শামিল মুসলিম মহিলারাও]
The post ভগৎ সিং, সুখদেব, রাজগুরুকে ‘শহিদ’ মর্যাদা নয়, জানাল হাই কোর্ট appeared first on Sangbad Pratidin.