সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ বছর ধরে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল ৪৬ বছরের ব্যবসায়ী নীরজ গুপ্তার। প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হতেই গোল বাঁধল। বিয়ে আটকাতে সটান প্রেমিকার বাড়িতে হাজির হন দিল্লির ওই ব্যবসায়ী। সেখানেই প্রেমিকা, তাঁর মা ও প্রেমিকা হবু বরের সঙ্গে বচসা বাধে। সেই কথা কাটাকাটির জেরে প্রাণ খোয়াতে হল ব্যবসায়ীকে। খুনের (Murder) পর সুটকেসে ভরে দেহ লোপাটের (Dump) চেষ্টা করে প্রেমিকা ও তার হবু বর। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
দিল্লির (Delhi) আদর্শ নগরের বাসিন্দা ফয়জল (২৯) নীরজের অফিসে চাকরি করতেন। নীরজ বিবাহিত। এদিকে ফয়জলের সঙ্গে ১০ বছর ধরে বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক ছিল তার। সম্প্রতি জুবেরের সঙ্গে ফয়জলের বিয়ে ঠিক হয়। এরপরই বিপত্তি। বিয়েতে আপত্তি জানান নীরজ। সেই কথা জানাতে দিল্লির আদর্শ নগরে ফয়জনের ভাড়াবাড়িতে হাজির হন তিনি। সেখানে ফয়জলের মা শাহনাজ ও হবু বর জুবেরও উপস্থিত ছিল।
[আরও পড়ুন : মানবিকতার নজির! জখম শ্রমিকদের কাঁধে চাপিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন পুলিশ কর্মীরা]
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৩ নভেম্বর দিল্লির আদর্শ পল্লি থেকে বেপাত্তা হয়ে যান ব্যবসায়ী নীরজ। তাঁর নিখোঁজ হওয়ার পিছনে ফয়জলের হাত রয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান ব্যবসায়ীর স্ত্রী। এরপর তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। ফয়জল, তাঁর মা ও জুবেরকে গ্রেপ্তার করতেই রহস্যের পর্দা ফাঁস হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বচসার মাঝেই ইট দিয়ে নীরজের মাথা থেঁতলে দেয় জুবের। ছুরি এফোঁর-ওফোঁর করে দেয় পেট। পরে দেহ লোপাট করতে একট বড় সুটকেসে ভরে ফেলে।
জুবের ট্রেনের প্যান্ট্রিতে কাজ করতেন। সেই সুযোগটাই কাজে লাগান। দেহ সমতে সুটকেসটা ট্রেনে তোলে সে। শেষে গুজরাটের ভারুচের কাছে দেহটি সুটকেসটি ফেলে দেয়। তবে শেষরক্ষা হল না। পুলিশ তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ফয়সল খুনের কথা শিকারও করে নিয়েছেন।