সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহের প্রথম দিনও দিল্লির দূষণ (Delhi Air Pollution) পরিস্থিতির উন্নতি নেই। সোমবার সকালেও দূষণের মাত্রা দেখে আতঙ্কিত দিল্লিবাসী। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা AQI অর্থাৎ বাতাসে দূষিত কণার পরিমাণ ৪৮৮। যা নিরাপদ মাত্রার চেয়ে ৮০ গুণ বেশি! তথ্য-পরিসংখ্যান এমনই। এই পরিস্থিতিতে সোমবার দুপুরে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠকে বসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই ও সংশ্লিষ্ট সবকটি দপ্তরের আধিকারিকরা থাকবেন বৈঠকে। সমাধান খুঁজতে হবে আলোচনা।
[আরও পড়ুন: রাতের দিকে সোনার ব্যাটে বিরাট বরণ, জন্মদিনে কোহলিকে বিশেষ উপহার দিল সিএবি]
সোমবার সকাল থেকেই ধোঁয়াশা (Smog)ঘেরা রাজধানী। আরকে পুরম, পাটপারগঞ্জ, নিউ মোতিবাগের মতো এলাকার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এই চার জায়গাতেই এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স চারশোর উপরে। কেন্দ্রীয় সরকারের দূষণ বিরোধী পরিমাপ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি এই মুহূর্তে স্টেজ ফোর (Stage IV) বা বিপজ্জনক ক্যাটাগরিতে রয়েছে। এই পর্যায় বিচার হয় AQI দিয়ে। তা ৪৫০এর বেশি হলে ‘Severe’ বা গুরুতর ধরা হয়। দিল্লিতে সোমবারও AQI ৪৬৬। গত পাঁচদিন ধরেই প্রায় একইরকম, কোনও উন্নতি নেই।
দূষণ পরিস্থিতিতে আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছে কেজরিওয়াল সরকার। বেসরকারি অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মীকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা বাড়ি থেকে কাজে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ধোঁয়াশার মাঝে দূষণ যাতে আরও না বাড়ে, তার জন্য দিল্লিতে সমস্ত রকমের নির্মাণ কাজ (Construction Work) আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, পেট্রল-ডিজেল চালিত গাড়িও রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে কড়া বিধিনিষেধ লাগু করা হচ্ছে। দিল্লি সরকার এবিষয়ে কেন্দ্রের সাহায্য নিচ্ছে। তবে এখানেও রাজনীতিকরণের অভিযোগ উঠছে। গোপাল রাই মন্তব্য করেছে, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানায় বিজেপি সরকার। তাদেরও সাহায্য চাইছি। সকলে মিলে একসঙ্গে দূষণ রোধে কাজ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগর-করিমপুর প্রস্তাবিত রেলপথের জমি চেয়ে চিঠি রেলের]
এই বায়ুদূষণ যে কী মারাত্মক, তা বিগত কয়েকবছর ধরে বেশ টের পাচ্ছেন দিল্লিবাসী। কার্যত ‘গ্যাস চেম্বার’ হয়ে ওঠে রাজধানী শহর। নিঃশ্বাস নেওয়া দায়। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা বলছে, দূষণ মানুষের জীবনের গড় আয়ু ১২ বছর কমিয়ে দিতে পারে। তবে এই সমস্যা বিশ্বের বিভিন্ন রাজধানী শহরেই বেড়ে চলেছে, যা উদ্বেগজনক।