সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে দিল্লিতেও নমঃ নমঃ করে হবে দুর্গোৎসব। রাজধানীর সবচেয়ে বড় দুর্গোপুজো কমিটি চিত্তরঞ্জন পার্কও রয়েছে এই তালিকায়। যাঁরা কোনও জন সমাগমের অনুমতি দেবে না। বেশকিছু পুজো কমিটি আবার ঘটপুজো করবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবমিলিয়ে এবার করোনা আবহে দিল্লিতেও ম্লান পুজোর আমেজ।
করোনাকালে দক্ষিণ দিল্লির ৪৭ বছরের পুরনো ঐতিহ্য ভাঙছে। এবার বেশিরভাগ কমিটিই উৎসব থেকে দূরে থাকছে। পাঁচদিনের বদলে একদিনে পুজো মিটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনেক কমিটিই। এর মধ্যে নামজাদা ১২টি কমিটি রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম চিত্তরঞ্জন পার্ক। উৎসবের শুরু মুখে সোমবার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে ১২টি পুজো কমিটি। সেই বৈঠকেই একাধিক সিদ্ধান্ত হয়। দক্ষিণ দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর সংখ্যাক বয়স্ক মানুষ রয়েছেন। কমিটির সদস্যরাও অনেকেই বয়স্ক। তাঁদেরই করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই এবার উৎসবের রীতিতে ছেদ টানছে তাঁরা।
[আরও পড়ুন : ‘অপমান করিনি, আমরা সবাই আইটেম’, বিজেপি নেত্রী সম্পর্কে মন্তব্যের সাফাই দিলেন কমল নাথ]
জানা গিয়েছে, পুজোর মণ্ডপে কমিটির ১০-১৫ জন সদস্যের বেশি কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কমেছে প্রতিমার উচ্চতাও। চিত্তরঞ্জন পার্কে ১৬ ফুটের বদলে ৫ ফুটের প্রতিমা এসেছে। প্রতিবার এই পুজো দেখতে জমা হন বহু দিল্লির প্রবাসী বাঙালি। খাওয়া-দাওয়া ও সাংস্কৃতির মিলিয়ে জমজমাট থাকে এই এলাকা। কিন্ত এবার ছবিটা অন্যরকম। এ প্রসঙ্গে চিত্তরঞ্জন পার্ক কালীমন্দির কমিটির যুগ্ম সচিব অনিতা হালদার জানান, “এবার সবকিছুই খুব ছোট করে হবে। নিয়ম মেনে করা হবে।” তিনি জানিয়েছেন, অন্যান্যবারের মতো সমারোহ করে বিসর্জন হবে না। বরং ওই চত্বরেই প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। যাঁরা এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা বাধ্যতমূলক। আরও এক নাম করা পুজো করোলবাগ। সেখানেও ঘটপুজো করা হচ্ছে। কালীূবাড়ি বা দুর্গাবাড়ির পুজোগুলো ছাড়া প্রায় সর্বত্রই এবার ঘট পুজো করা হচ্ছে। অনলাইনে বুকিং করলে প্রসাদ দিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। অঞ্জলি হবে অনলাইনে। কোথাও কোথাও জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছে, সেখানে অবশ্য পুষ্পাঞ্জলি নয়, অঞ্জলি হবে।
[আরও পড়ুন : ‘তথ্যের অপব্যাখ্যা হচ্ছে’, টিআরপি নিয়ে রিপাবলিক টিভিকে ভর্ৎসনা BARC-এর]
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ জানিয়ছেন, এবার রীতি বজায় রাখর জন্য ১২-১৫টি কমিটি শুধুমাত্র ঘটপুজোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বহিরাগতরা যাতে পুজোর দিনগুলতে ভিতরে না ঢুকতে পারেন তা দেখার জন্য পুলিশকে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।