সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মাসও বাকি নেই নির্বাচনের। অথচ দলের অন্দরের অসন্তোষে প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত হতে হচ্ছে কর্ণাটকের (Karnataka) শাসক বিজেপিকে। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির দু’দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই একের পর এক বিধায়ক থেকে শুরু করে প্রাক্তন মন্ত্রীদের দল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। বিজেপি থেকে কংগ্রেসের দিকে পা বাড়ানোর প্রবণতাই বেশি দেখা গিয়েছে। একদিন আগেই বিজেপি ছেড়েছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাভাদি। এবার সেই তালিকায় এবার নাম লেখাতে পারেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ সেট্টার। দলকে সরাসরি হুমকি দিয়ে দিয়েছেন তিনি।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ছ’বারের বিধায়ক জগদীশ সেট্টারকেও (Jagadish Shettar) টিকিট দিতে অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। হুব্বলি কেন্দ্র থেকে ৬ বারের বিধায়ক বলছেন, “আমি দলকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। তারপর নিজের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব। বিজেপি আমাকে টিকিট দিলে অন্তত ২০-২৫টি আসনে প্রভাব পড়বে। গোটা কর্ণাটকেই প্রভাব পড়বে। তবে মূলত উত্তর কর্ণাটকের ২০-২৫ আসনে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে। এমনকী বিএস ইয়েদ্দুরাপ্পাও মেনে নিয়েছেন আমাকে টিকিট না দিলে একাধিক আসনে তার প্রভাব পড়বে।”
[আরও পড়ুন: পুলওয়ামা কাণ্ডের জন্য দায়ী কেন্দ্রই, হেলিকপ্টার চেয়েও পাননি জওয়ানরা! বিস্ফোরক সত্যপাল মালিক]
এখনও কর্ণাটকে ১২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। তাই সেট্টারের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা এখনও আছে। যদি শেষমেশ তিনি টিকিট না পান, তাহলে দল ছাড়তে পারেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সেট্টারের ঠিক আগে বিজেপির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা কর্ণাটক বিধান পরিষদের সদস্য লক্ষ্মণ সাভাদি শুক্রবার কংগ্রেসে (Congress) যোগদান করেছেন। টিকিট না পেয়ে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সাভাদি। তাঁকে বোঝাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী-সহ অনেকেই কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতে পাত্তা না দিয়ে শুক্রবারই বিধান পরিষদের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগদান করেছেন।
[আরও পড়ুন: বিচারপতিকে লেখা কুন্তলের চিঠি মামলা: অভিষেককে জেরার বিরোধিতায় দাখিল ক্যাভিয়েট]
ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, “আমি মারা যাওয়ার পরেও যেন আমার দেহ বিজেপির দফতরের সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া না হয়।” সাভাদি (Laxman Savadi) যে তাঁর পছন্দের আসন আথানি থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়বেন, তা জানিয়ে দিয়েছেন সিদ্দারামাইয়া। লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের একটি অংশের নেতা সাভাদি। রাজ্য রাজনীতিতে লিঙ্গায়েত ভোটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।