সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় অসামান্য ভূমিকা পালন। স্কচ অ্যাওয়ার্ড গোল্ডে ভূষিত রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর (Department of Health & Family Welfare, Government of West Bengal)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণাধীন এই দপ্তরের গ্রিভান্স রিড্রেসল সেলের প্রচেষ্টার ফলেই মিলল স্বীকৃতি।
গত মার্চ থেকে বিশ্বজুড়ে পরাক্রমী ভাব দেখাচ্ছে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। প্রথম দফায় দেশজুড়ে লকডডাউন জারি করা হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোর জন্য আনলক পর্যায় শুরু হয়। সেই সময় একেবারে অজানা ভাইরাসের হানায় মাথায় হাত দেশ তথা বাংলার প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের। কীভাবে সংক্রমণ কমিয়ে আবারও রাজ্যকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানো যায় সেদিকেই নজর ছিল সকলের। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাল ছাড়েননি। পরিবর্তে তাঁর নির্দেশমতো রাজ্য প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর কাজ করতে শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: বাংলায় বাড়ছে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ, নিউটাউনে তৈরি হচ্ছে নতুন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ]
প্রথম দফায় শুরু হয় কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের কাজ। কারা কারা ভিনরাজ্য কিংবা ভিনদেশ থেকে এ রাজ্যে ফিরেছেন তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়। তারপর করোনা সম্পর্কে সকলকে সচেতন করারও কাজ শুরু করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা (Health Worker)। প্রথমদিকে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও নমুনা পরীক্ষা করাতে ভয় পাচ্ছিলেন অনেকেই। তাঁদেরও সাহস জোগানোর কাজ করে স্বাস্থ্যদপ্তর। তাই তো বর্তমানে টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে বেশ খানিকটা। মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এছাড়াও অনেকেই করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করছিলেন, সেই অভিযোগও সামনে এসেছে। সে সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে বোঝাতেও তৎপর ভূমিকা নেয় রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর। এমনকী সকলে মাস্ক পরছেন কিনা এবং কোভিডবিধি মানছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখার গুরুদায়িত্ব সামলায় স্বাস্থ্যদপ্তর। যদিও তাতে সাহায্য করে রাজ্য পুলিশও।
[আরও পড়ুন: জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, এবার অগ্নিমিত্রা পলকে শোকজ বিজেপির]
ধীরে ধীরে এখন অনেকটাই প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কাজ গুছিয়ে নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। বর্তমানে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, কোন হাসপাতালে কতগুলি বেড ভরতি হতে বাকি আছে, সে সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে। শুধু তাই নয় হাসপাতালে ভরতি করোনা রোগীদেরও শারীরিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত খোঁজখবরও সংস্পর্শ এড়িয়ে খুব সহজেই পাচ্ছেন পরিজনেরা। সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর যে একশোয় একশো নম্বরের অধিকারী হতে পারে, সেকথা বলছেন অনেকেই। আর তার ফলে স্কচ অ্যাওয়ার্ড (Scotch Award) গোল্ডে ভূষিত রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর।