শিলাজিৎ সরকার: টিম বাস নিয়ে নৈহাটি স্টেডিয়ামে পৌঁছে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ওয়ার্ম আপও শুরু করে দিয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। যে টিম লিস্ট দেওয়া হয়েছিল দুদলের, তাতে ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়দের নাম থাকলেও, মোহনবাগান ফুটবলারদের নাম ছিল না।
নৈহাটি স্টেডিয়ামে অনুপস্থিত ছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। সবুজ-মেরুনের ডাগ আউট ছিল ফাঁকা। তাদের ড্রেসিংরুমেও ছিলেন না কোচ ও ফুটবলাররা। ফলে বাঙালির বড় প্রিয়, বড় আবেগের ডার্বির বলই গড়াল না নৈহাটি স্টেডিয়ামে। প্রায় ঘণ্টা খানেকের অপেক্ষার পরে ম্যাচ কমিশনার জানিয়ে দিলেন, ম্যাচটা পরিত্যক্ত হল এটা বলা যায়। তবে পয়েন্ট কে পাবে, তা বলার এক্তিয়ার নেই ম্যাচ কমিশনারের।
সাধারণত ডার্বি ঘিরে যে উন্মাদনা দেখা যায়, সমর্থকদের মধ্যে যে উৎসাহ চোখে পড়ে, সেটাই অনুপস্থিত ছিল বৃহস্পতিবারের নৈহাটিতে। তার পিছনে অবশ্য কারণও রয়েছে। গত দুদিন ধরে মোহনবাগান ও আইএফএফ-র মধ্যে একাধিক পত্র বিনিময় হয়। কিন্তু দুপক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে। ফলে ডার্বির বরফ গলেনি। নির্দিষ্ট সময়ে ইস্টবেঙ্গল নৈহাটি স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকলেও মোহনবাগান আসেনি।
[আরও পড়ুন: অপ্রাপ্তির শূন্যতা! ফাইনালে হারের পর ড্রেসিংরুমে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন রোহিত-বিরাট]
মোহনবাগানের তরফ থেকে আগে জানানো হয়েছিল, ২৭ নভেম্বর তাদের আইএসএলে ম্যাচ ছিল। পরের ম্যাচ ২ ডিসেম্বর। দল অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে বাইরে যাবে ৩০ নভেম্বর। অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবার। তাহলে সেই দিনে কীভাবে ডার্বি খেলা সম্ভব মোহনবাগানের পক্ষে? পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাদের শেষ ম্যাচ খেলেছে ২৫ নভেম্বর। লাল-হলুদের পরের ম্যাচ ৪ ডিসেম্বর। বেশ কয়েকদিনের বিশ্রাম পাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। অথচ মোহনবাগানকে এএফসি কাপ খেলে দু দিনের বিশ্রাম নিয়েই ডার্বি খেলতে হবে। এরপরেও সবুজ-মেরুনের অনুরোধ রাখা হয়নি। ফলে মোহনবাগানও দল নামায়নি।
কলকাতা লিগ আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং। ফলে ইস্ট-মোহনের লড়াইয়ের ফলে চ্যাম্পিয়নশিপের কোনও পরিবর্তনই হতো না। কিন্তু দুপ্রধানের লড়াই চিরকালই যে রক্তের গতি বাড়িয়েছে, উত্তেজনার পারদ চড়িয়েছে। সেই ম্যাচই হল না নৈহাটি স্টেডিয়ামে।