shono
Advertisement

পুজো নিয়ে হাই কোর্টের রায়কে স্বাগত রাজনৈতিক দলগুলির, তবে শাসক-বিরোধী তরজা অব্যাহতই

মনঃক্ষুণ্ণ হলেও রায় মানছেন শাসকদলের নেতারাও।
Posted: 08:59 PM Oct 19, 2020Updated: 09:03 PM Oct 19, 2020

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: দুর্গাপুজো (Durga Puja) নিয়ে হাই কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাল সরকার, বিরোধী – সব পক্ষই। দর্শকশূন্য মণ্ডপে পুজোয় অসুবিধা হলেও কোর্টের রায়কে মান্যতা দিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন শহরের বেশ কয়েকটি পুজোর উপদেষ্টা। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষও রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। যদিও আদালতের রায় নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কলকাতার প্রশাসক ও পুজো উদ্যোক্তা ফিরহাদ হাকিম। ‘সময়োপযোগী রায়’, মন্তব্য বিরোধী দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakroborty)। আদালতের নির্দেশকে সামনে রেখে রাজ্য সরকার ও শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি।

Advertisement

করোনা আবহে পুজো নিয়ে হাই কোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার রায়কে সকলে স্বাগত জানালেও বেশ কিছু সমস্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর কলকাতার বিভিন্ন গলিতে যে পুজো হয়, তারা সমস্যায় পড়বে। হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী কাজ করতে গেলে গলির মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। আর তা করে দিলে গলির মুখ বন্ধ করে দিলে মানুষ প্রতিমাই দর্শন করতে পারবেন না। মণ্ডপও দেখা যাবে না। ফলে পুজো উদ্যোক্তাদের এতদিনের পরিশ্রম বৃথা হবে। তবে মহামারীর কথা ভেবে আদালত যে রায় দিয়েছে, তাকে মানতেই হবে। নইলে আরও বড় বিপদ আসতে পারে বলে মনে করেন অতীন ঘোষ (Atin Ghosh)। দেখা যাচ্ছে, জনসাধারণ অনেক ক্ষেত্রেই সরকারি করোনাবিধি মানছেন না। ফলে সংক্রমণ বাড়ছে। আদালতের এই আদেশ পালন হলে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ হবে বলে মত তাঁর।

[আরও পড়ুন: পুজোয় সম্ভবত চলবে না অতিরিক্ত মেট্রো, হাই কোর্টের রায়ের পরই সিদ্ধান্ত বদলের ভাবনা]

আদালতের নির্দেশে শাসকদলের নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লেও উৎফুল্ল বিরোধী শিবির। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর মতে, সংক্রমণ ঠেকাতে আদালত যে নির্দেশিকা দিয়েছে, তা বাস্তবায়িত করা সরকারের দায়িত্ব। তাঁর অভিযোগ, পুজো মানেই তৃণমূলের দখলদারিতে বেলেল্লাপনা। সেখানে ভক্তি বা ঐতিহ্যের কোনও নামগন্ধ থাকে না। বাম পরিষদীয় দলনেতা ও সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী জানান, উৎসবের আবেগকে কাজে লাগিয়ে করোনাবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যে রাজনীতি হচ্ছিল, তাতে আদালতের নির্দেশে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হবে। পুজোর আবেগকে কাজে লাগিয়ে ৫০ হাজার টাকা অনুদানের বিষয়টি নিয়েও কটাক্ষ করেন সুজন চক্রবর্তী।

[আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে করোনা, অ্যাম্বুল্যান্স ও হাসপাতালের বেডের পর্যাপ্ত ব্যবস্থার নির্দেশ মমতার]

দর্শকহীন মণ্ডপে এবছর পুজো করা নিয়ে আদালতের রায়ে কিছু অসুবিধা হলেও করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া উচিৎ। মনে করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ অধীর চৌধুরি। আদালতের রায়কে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক রোহন মিত্র। তিনি জানান, দুর্গোৎসব চিরকালের ঐতিহ্য, যা বিলীন হওয়ার নয়। কিন্তু মানব সভ্যতার স্বার্থে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে মহামারীকে পরাস্ত করতেই হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement