সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২ কমিশনারেটের সমন্বয়ের অভাবে গ্রিন করিডর থাকা সত্বেও কলকাতায় যানজটে ফেঁসে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। ফলে ২০ মিনিটের পথ পার করতে খরচ হয় ৩৫ মিনিট। জানা গিয়েছে, যে পথে গ্রিন করিডর করে হাসপাতালে পৌঁছানোর কথা ছিল রোগীর। মাঝ রাস্তায় সেই পথ ছেড়ে অন্যপথে রওনা দেয় পুলিশের এসকর্ট। দেরিতে পৌঁছালেও বর্তমানে ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি।
[আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টির জের, রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায়]
বন্ধুদের সঙ্গে মানস সরোবর ঘুরতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সমরজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তি। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, অ্যাকিউট ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন সমরজিৎ বাবু। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর দ্রুত কলকাতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয় তাঁকে। সেই মতো মঙ্গলবার সকালে লখনউ থেকে বিমানে সমরজিৎ বাবুকে নিয়ে আসা হয় দমদম বিমানবন্দরে। বেলা ১১ টা নাগাদ গ্রিন করিডর ধরে অ্যাম্বুল্যান্স রওনা হয় মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের (আইএনকে) উদ্দেশে। কিন্তু উল্টোডাঙা ব্রিজে ওঠার আগেই বাধে বিপত্তি। সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারণে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা। বচসার জেরে ৫ মিনিটের বেশি যানজটে আটকে থাকে অ্যাম্বুল্যান্স।
অ্যাম্বুল্যান্সের চালক তপু দাস জানান, “লেক টাউন হয়ে উল্টোডাঙা ব্রিজে ওঠার সময় আমি পুলিশকে বলি হাইট বার ক্রস করে আমার অ্যাম্বুল্যান্স যেতে পারবে না। কাজেই আপনারা রুটটা ঠিক করে দিন। কিন্তু পুলিশের এসকর্ট গাড়ি ভুল দিকে নিয়ে যায়। ফলে উল্টোডাঙা ব্রিজে উঠেই আমরা যানজটে আটকে পড়ি।এরপর কলকাতা পুলিশের অধিনস্ত এলাকা ছেড়ে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের এলাকায় পৌঁছাতেই হাতবদলে বেশ কিছুটা সময় কেটে যায়।” চালক জানিয়েছেন, পরিকল্পনা মাফিক ফ্লাইওভার ফাঁকাই রেখেছিল পুলিশ। কিন্তু মাঝপথে রাস্তা পালটানোর কারণেই এই সমস্যা। চালকের দাবি, ২৫-৩০ মিনিটের জায়গায় মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছতে সময় লেগে যায় প্রায় ৩৫ মিনিট। তবে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, ওই হাইট বারে অ্যাম্বুল্যান্স আটকায় না। কী কারণে চালক ওই দিক দিয়ে গেলেন, সেটা বোঝা যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: বাবুলের ঘোষিত প্রকল্পের বাস্তবায়ন, চালু হল দুর্গাপুর-মুম্বই উড়ান পরিষেবা]
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে আইএনকে-তে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি। চিকিৎসক ঋষিকেশ কুমারের অধীনে চিকিৎসা শুরু হয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, মস্তিষ্কের বাম দিকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে তাঁর। এখনও আশঙ্কাজনক তিনি। তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্টেও দেখা গিয়েছে সুগার, হাইপার টেনশন রয়েছে। দ্রুতই তাঁর অস্ত্রোপচার করা হবে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে।
The post সমন্বয়ের অভাব, গ্রিন করিডর সত্বেও কলকাতায় যানজটে ফেঁসে রোগী appeared first on Sangbad Pratidin.