সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামীর (Stan Swamy) মৃত্যুতে দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মোদি সরকারকে। সোমবার প্রবীণ সমাজকর্মীর মৃত্যুর পরে তীব্র সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে বহু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনকে। দাবি উঠেছে, অশীতিপর স্বামীকে বেআইনি ভাবে আটক করা হয়েছিল। সেই সমালোচনার উত্তরে এবার মুখ খুলল কেন্দ্রও। তাদের দাবি, স্ট্যান স্বামীকে আইনি প্রক্রিয়া মেনেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার একটি বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, ‘‘ফাদার স্ট্যান স্বামীকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) আটক ও পরে গ্রেপ্তার করেছিল আইনি প্রক্রিয়া মেনেই। তাঁর বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছিল, তার ভিত্তিতেই আদালতে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়েছিল। ভারতে আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। বৈধ অধিকার প্রয়োগের বিরুদ্ধে নয়। যা করা হয়েছে সবই আইন মেনে।’’
[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার বলি ৯৩০, সুস্থতার হার বেড়ে ৯৭.১৮ শতাংশ]
প্রসঙ্গত, স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘও। মঙ্গলবারই এক বিবৃতি জারি করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানায়, মতপ্রকাশের জন্য কাউকে আটক করা উচিত নয়। করোনা আবহে প্রত্যেক রাষ্ট্রের উচিত পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকা সত্বেও ধৃত ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া।যদিও অরিন্দমের দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসার সব রকম পরিষেবাই দেওয়া হয়েছে স্বামীকে। আদালতও নজর রেখেছিল তাঁর স্বাস্থ্যের দিকে।
প্রসঙ্গত, এলগার পরিষদ মামলায় (Elgar Parishad Case) গ্রেপ্তার হয়েছিলেন স্ট্যান-সহ একাধিক সমাজকর্মী। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযোগ করেছিল, ভীমা কোরেগাঁওয়ে জাতপাতের ভিত্তিতে হিংসা ছড়ানোর ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন স্ট্যান এবং অন্য অভিযুক্তরা। পাশাপাশি মাওবাদীদের হয়ে কাজ করা সংগঠনের সদস্য হওয়ার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়া, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুণেতে আয়োজিত একটি কনক্লেভে প্ররোচনামূলক বক্তৃতা দেওয়ার কারণে পরের দিন ভীমা কোরেগাওঁয়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল বলেও দাবি করা হয়।
[আরও পড়ুন: অব্যাহত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কলকাতায় সেঞ্চুরি হাঁকাল পেট্রল]
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গত ২৮ মে থেকেই মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় নিয়োজিত স্বামী। গত সপ্তাহ থেকেই সমাজকর্মীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করেছিল। তাঁর আইনজীবী জানান, রবিবার রাতে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়। আর সোমবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তার পরই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন স্বামী।