নন্দন দত্ত, সিউড়ি: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেউচা পাঁচামির প্রস্তাবিত প্রথম কয়লা প্রকল্পে জমিদাতা পরিবার থেকে ২৬০ জন জুনিয়র কনস্টেবল পদের নিয়োগপত্র পেলেন। শুক্রবার তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়।
এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা প্রকল্প দেউচা পাঁচামি (Deocha Pachami Coal Mine)। বীরভূমের মহম্মদবাজারে প্রস্তাবিত এই প্রকল্প ঘিরে ইতিমধ্যেই একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একাধিক এলাকা থেকে বিরোধিতা প্রদর্শিত হয়। জমিদাতাদের ভুল বোঝানোর জন্য আদিবাসীরা নানারকম মহাসভা গঠন করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। কিন্তু গত বছর নভেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বিধানসভায় দাঁড়িয়ে একটি মানবিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। যাতে দাবি করা হয়েছিল, যাঁরা এই প্রকল্পের জন্য স্বেচ্ছায় জমি দান করবেন, তাদের পরিবারের মধ্যে থেকে মনোনীত সদস্যকেই জুনিয়র কনস্টেবল পদে প্রাথমিক ভাবে চাকরি দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, যোগ্য ভিত্তিতে আরও উচ্চপদেও নিয়োগ করা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোটদানের আরজিতে তৃণমূল সাংসদদের চিঠি শুভেন্দুর, বয়ান নিয়ে আপত্তি তৃণমূলের]
এই শর্ত মেনেই যে আড়াই হাজার জমিদাতা জমি দিতে রাজি হয়েছেন, তাঁদের সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর এদিন জেলাপুলিশের পক্ষ থেকে ২৬০ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হল। জেলাপুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, এই নবনিযুক্তরা হলেন প্রথম সিপাহী, যাঁদের আগামী রবিবার থেকেই বারাকপুরে প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে যাবে। প্রশিক্ষণ শেষে তিন-চার মাস পর তাঁরা বিভিন্ন জেলায় জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরি করবেন।
এদিন সিউড়িতে এই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন এসআরডিএ চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা-সহ অনেকে। তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত এই মানবিক প্যাকেজই প্রকল্প বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়ে কথা রাখায় খুশি এলাকার মানুষও।