সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য সরকার ভীমা-কোরেগাঁও সংঘর্ষ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।এই ব্যর্থতার নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। এমনই দাবি তুললেন মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রধান অশোক চবন।
অশোক চবন অভিযোগ করে বলেন, ভীমা কোরেগাঁও সংঘর্ষের মূলে জাতিবিদ্বেষ। মহারাষ্ট্রে গত তিনবছর ধরে এই জাতিবিদ্বেষ ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। রাজ্য সরকারের প্রত্যক্ষ সহায়তায় এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সরকারের নাকের ডগায় জাতিবিদ্বেষের বীজ চারাগাছে পরিণত হয়েছে। তা নির্মূল করা দূরের কথা, দেখেও না দেখার ভান করে থেকেছে সরকার। রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাতেই সংঘর্ষ এত বড় আকার নিয়েছে। কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব সর্বসম্মতভাবে তাই মনে করে। কি করে একটা সরকার এই ধরণের সংঘর্ষ রোধে ব্যর্থ হতে পারে তা নিয়ে তারা দীর্ঘ আলোচনা করেছে। কমলা মিলস অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের প্রাণ গিয়েছে। সেই তদন্তেও গা-সওয়া ভাব দেখাচ্ছে সরকার।
[অনুরাগী থেকে রাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবক, রজনীর প্রচারে ওয়েবসাইটের নামবদল ভক্তদের]
রাজ্যের রাজনৈতিক মসনদ ফিরে পেতে নতুন ছক সাজাতে শুরু করেছেন চবন। জানান, প্রত্যেক জেলাতেই পৃথক শিবির তৈরি করে কাজ শুরু করবে দল। নব নিযুক্ত সভাপতি রাজ্যে এসে একটা বৈঠক করুন এমনটাই সকলে চাইছে। খুব শিগগির মহারাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চল সফরে আসবেন রাহুল গান্ধী।
[আধ্যাত্মিক গুরুকে গোপনে বিয়ে করলেন ইমরান খান!]
উল্লেখ্য, জানুয়ারির ১ তারিখেই ভীমা-কোরেগাঁও যুদ্ধের ২০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করছিল দলিত সম্প্রদায়। পুণে থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে যুদ্ধের স্মৃতিসৌধ দর্শন করতে গিয়েই গণ্ডগোল বাধে। যাওয়ার পথেই লোকজনকে আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলিত ও কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অনেকে। প্রতিবাদে মুম্বই বনধের ডাক দেয় দলিত সম্প্রদায়।সোমবার থেকে কার্যত অচল হয়ে পড়ে মুম্বই, পুণে-সহ সমগ্র মহারাষ্ট্র। ট্রেন বাস আটকে পড়ায় সমস্যায় পড়ে সাধারণ মানুষ।বনধ সফল করতে সংঘর্ষ, অগ্নি সংযোগের মতো ঘটনাও ঘটে। গতকাল থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
The post ভীমা-কোরেগাঁও সংঘর্ষের দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন ফড়ণবিস, সরব কংগ্রেস appeared first on Sangbad Pratidin.