রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ভাইয়ের পথে হেঁটে এবার একসঙ্গে আটটি প্রশাসনিক পদ ছাড়লেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। মঙ্গলবার রাত ১০ নাগাদ আটটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ছেড়েছেন স্বাস্থ্যদপ্তরের মনোনীত সরকারি প্রতিনিধির পদও। সাংসদের এই পদত্যাগ স্বাভাবিকভাবেই উসকে দিয়েছে দলত্যাগের জল্পনা।
নভেম্বরে দলের প্রতীক ছাড়া সভা করা শুরু করেছিলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর ভাই শুভেন্দু। সেই থেকে শুরু জল্পনা। অবশেষে মন্ত্রিত্ব, বিধায়ক ও তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য পদ ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই দলত্যাগ তৃণমূলের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের সম্পর্কে চিড় ধরিয়ে দেয়। প্রশ্ন ওঠে এতবছরের বিশ্বাস নিয়ে। পরবর্তীতে কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সরানো হয় অধিকারী পরিবারের ছোট ছেলে সৌমেন্দুকে। যা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন দিব্যেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছিলেন। পরবর্তীতে দাদা শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে চলে যান সৌমেন্দু। এরপর শিশির অধিকারীকেও সরানো হয় জেলা সভাপতি পদ থেকে। যা কোনওদিনই ভালভাবে নেননি অধিকারীরা। এদিকে শুভেন্দু সভায় দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছিলেন রামনবমীর আগে তাঁর বাড়িতে আরও পদ্ম ফুটবে। ফলে দিব্যেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ স্বাভাবিভভাবেই উসকে দিচ্ছে সেই দলবদলের জল্পনা।
[আরও পড়ুন: জমির মালিকানা নিয়ে টানাপোড়েনে থমকে রেলের কাজ, প্রতিবাদে ট্রেন অবরোধের ডাক]
একুশের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে দলত্যাগের হিড়িক পড়েছে শাসকদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। একের পর এক নেতারা দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন। কারও কারও মানভঞ্জনে দল সক্ষম হলেও অধিকাংশের ক্ষেত্রেই তা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও এই দলত্যাগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল। তাঁদের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমু্দ্রের মতো। তাঁর থেকে সামান্য জল তুলে নিলে কোনও ক্ষতি নেই। যদিও লাগাতার দলত্যাগ ভোটের ময়দানে শাসকদলকে চাপে ফেলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।