সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোহিনী সরকারের বিয়ের পর থেকেই তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা তথা বাংলা টেলিভিশনের অভিনেতা রণজয় বিষ্ণুকে নিয়ে নানা বিতর্ক। এবার শোনা যাচ্ছে আরেক খবর। টলিপাড়ায় গুঞ্জন, রণজয়কে নাকি আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন সোহিনী সরকার ও সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। সোহিনীর বিয়ের পর কাছের মানুষদের কাছে অতীত নিয়ে কুকথা বলেছেন, এমন নাকি অভিযোগ দুই অভিনেত্রীর।
'মন থেকে চাই সোহিনীর সব ভালো হোক...', সোহিনী-শোভনের বিয়ের পর একথাই বলেছিলেন রণজয়। এদিকে জুলাই মাসে ফেসবুকে সায়ন্তনী লেখেন, "প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সেটা কে নিয়ে পাবলিসিটি করতে খুব কম গুণী মানুষই পারেন… এরা হল তারা যারা মৃত শবের পাশে শুয়েও ইন্টারভিউ দিতে পারেন, কারণ পাবলিক সিমপ্যাথি বাড়লে এদের ফলোয়ার্সও বাড়বে। তার সঙ্গে সুবিধা হবে নেক্সট গার্লফ্রেন্ড থুড়ি নতুন এটিএম কার্ড জোগাড় করতে। আসলে সোনার ডিম পাড়া মুরগি চলে গেলে খারাপ তো সকলেরই লাগে। আমার মনে হয় নতুন এটিএম কার্ড থেকে বোধহয় এখনও টাকা তোলা যায়নি। যাক মেয়েরা সতর্কও থাকুন এই সব কালজয়ী অভিনেতাদের থেকে, যারা পর্দাতে এবং বাস্তব জীবনে একসঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছে। হায় রে নির্বোধ দর্শক।”
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশি হিন্দুদের জন্য কাঁদছে প্রীতি জিনটার মন, দিলেন বিশেষ বার্তা]
নিজের পোস্টে সায়ন্তনী কারও নাম নেননি। তবে তাতে ভালোবাসার ইমোজি দেন সোহিনী। আবার পরিচালক রাজর্ষি দের মন্তব্য ছিল, “নমঃ বিষ্ণু, নমঃ বিষ্ণু, নমঃ বিষ্ণু!” যদিও আইনি পথে যাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সায়ন্তনী। বিষয়টি নিয়ে সোহিনীও সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাতে চাননি। রণজয়ও এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলতে চাননি।
যদিও এর আগে দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে রণজয় লিখেছিলেন, "...আমি জানি সোশাল মিডিয়া বা নিউজ আর্টিকেলে তার প্রত্যুত্তর সম্ভব নয়,কারন আমার বিরুদ্ধে বলা মিথ্যে কথাগুলো ক্রিমিনাল অফেন্স এবং কথাগুলো যদি সত্যি হয় আমি ক্রাইমের সাথে যুক্ত। তাই এই সমস্ত মিথ্যে কথার উত্তর আমি আইনি পথেই দেব এবং শুধুমাত্র প্রচারের লোভে যারা এই অন্যায় ক্রমাগত করে চলেছেন তাদের যাবতীয় উত্তর আইন দেবে। আমি এবং আমার পরিবারের মর্যাদা যারা শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থ আর ক্ষুদ্র প্রচারের লোভে ক্ষুণ্ণ করলেন তাদের মানসিক সুস্থতা কামনা করি।”"রণজয় বিষ্ণুর জীবনে এক ঝাঁক অভিনেত্রীর আনাগোনা। অতীত সম্পর্কের জেরে তাঁদের সঙ্গেই আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে গেলেন অভিনেতা। আনন্দবাজার অনলাইন খবর পেয়েছে সোহিনী সরকার, সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা তাঁকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছে। সোহিনী, সায়ন্তনী-- প্রত্যেকের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রণজয়। সোহিনীর বিয়ের পর ঘনিষ্ঠজনদের কাছে অতীত নিয়ে কুকথা বলেন অভিনেতা, এমনই অভিযোগ দুই অভিনেত্রীর। তার পরেই বচসা শুরু। অভিনেত্রীদের দোষারোপ, অভিনেতা তাঁদের প্রত্যেককে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছেন। যথেচ্ছ আর্থিক সহায়তাও নিয়েছেন। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ রণজয়।