সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের সোনালী ফুটবল কেরিয়ারে বহু বার বিতর্কে জড়িয়েছেন দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা (Diego Maradona)। আর ফুটবল–ঈশ্বরের বিদায়বেলাতেও যেন বিতর্ক কিছুতেই থামছে না। মারাদোনার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পিছনে প্রাথমিকভাবে দায়ী করা হয়েছিল কিংবদন্তি ফুটবলারের ডাক্তার লিওপল্ডো লুকে–কে। এবার সেই অভিযুক্তদের তালিকায় যোগ হল নতুন একটা নাম অগাস্টিনা কোসাচভ।
কে এই কোসাচভ? তিনি আর কেউ নন, প্রয়াত মারাদোনার মনোবিদ ছিলেন। আর্জেন্টাইন মিডিয়ার দাবি, প্রায় প্রতি সপ্তাহেই কোসাচভের ক্লিনিকে ব্যক্তিগত কাউন্সেলিং সেশনের জন্য আসতেন মারাদোনা। করোনা আবহে লকডাউনের সময় আবার সেই সমস্ত সেশনগুলো অনলাইনে হয়েছে। মারাদোনার পরিবারের তরফ থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হয়েছে বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের চিকিৎসায় গাফিলতি রয়েছে জেনেও নাকি কোসাচভ সেই তথ্য লুকিয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে কোসাচভের ক্লিনিক ও বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। এদিনও ফের কোসাচভের ক্লিনিকে দ্বিতীয় দফার তল্লাশি চালায় আর্জেন্টাইন পুলিশ। আবার কোসাচভের মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পাওলো রোসির শেষকৃত্যের সময় বাড়িতে ডাকাতি! চুরি গেল কিংবদন্তির হাতঘড়িও]
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হয়েছে মারাদোনার মনোবিদকে। পুলিশ জানতে চেয়েছে মারাদোনাকে কী ওষুধ দিতেন কোসাচভ। কারণ কয়েকজন মারাদোনা ঘনিষ্ঠের দাবি, কোসাচভের দেওয়া ওষুধ খাওয়ার পরেই ফুটবল–ঈশ্বরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। আর্জেন্টাইন পুলিশের এক মুখপাত্র বললেন, “যদি দেখা যায় মারাদোনার চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছিল তা হলে কড়া শাস্তির মুখে পড়বে ওঁর ডাক্তাররা। আমরা আপাতত প্রতিটি দিকই খতিয়ে দেখছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
যদিও কোসাচভের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর আইনজীবী ভাদিম মিসচানচুক। তিনি বলেন, “কোসাচভ যা যা ওষুধ দিয়েছিল মারাদোনাকে সেগুলো থেকে কারও শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে না। পুলিশকে সব রকমের সহযোগিতা করছে কোসাচভ। এর থেকে বেশি আর কিছু বলতে চাই না।” আবার সরকারি বিবৃতি দিয়ে কোসাচভ বলেছেন, “দিয়েগো আমার খুব ভাল বন্ধু ছিল। সব সময় চেষ্টা করেছি ও যাতে কোনওরকম মানসিক চাপে না ভোগে।”