নন্দন দত্ত, সিউড়ি: কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পরই তৎপর সিবিআই। রামপুরহাটের বগটুইতে (Bagtui) নমুনা সংগ্রহে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলি ঘুরে দেখেন তাঁরা। 3D স্ক্যানারের সাহায্যে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। নমুনা সংগ্রহের পর রামপুরহাট (Rampurhat) থানাতেও যান আধিকারিকরা। প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করা হয়।
এদিন বেলা ১২টা নাগাদ ডিআইজি সিবিআই (DIG CBI) অখিলেশ সিং নেতৃত্বে ২০ জন আধিকারিক বগটুই গ্রামে যান। সঙ্গে ছিলেন সিবিআইয়ের ফরেনসিক টিম CFSL-এর আধিকারিকরাও। গত ২১ মার্চ রাতে বড়শালের উপপ্রধান ভাদু শেখ বোমাবাজিতে খুন হন। এরপর শেখ লাল শেখের বাড়িতে আগুন লাগে। পরপর ৩টি বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। পূর্বপাড়ার সোনা শেখ ও বানিরুল শেখ-সহ মোট ৫টি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার বাসিন্দা ফটিক শেখের বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
প্রথমে পূর্বপাড়ার অগ্নিদগ্ধ ৫টি বাড়িতে যান তাঁরা। সোনা শেখ নামে যে ব্যক্তির বাড়ি থেকে অগ্নিদগ্ধ দেহগুলি উদ্ধার হয়েছে সেখানেও যান আধিকারিকরা। আগুনের তীব্রতা ঠিক কতটা ছিল তা বোঝার চেষ্টা করেন তিনি। ডিআইজি সিবিআই (CBI) পাশের বাড়ির ছাদ থেকেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলির পর্দা, পর্দার ফ্রেমে আততায়ীদের হাতের দাগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হয়।
[আরও পড়ুন: পরা যাবে না ছেঁড়া জিনস, কলকাতার কলেজের নয়া পোশাক ফতোয়া নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক!]
অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলিতে থাকা বেশ কয়েকটি ফাঁকা ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একটি ড্রামে তরল পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। সেটিরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলির থেকে সুরক্ষিত আশেপাশের বাড়িগুলির দূরত্ব খতিয়ে দেখা হয়। ওই বাড়িগুলিতে একইসঙ্গে আগুন লাগানো হয়েছিল নাকি কিছুটা ব্যবধান ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিট যা নমুনা সংগ্রহ করেছে তার মধ্যে কোনও খামতি রয়েছে কিনা, তাও দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আগুন লাগার কতক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিন সিবিআইয়ের আরেকটি দল সাঁইথিয়ার গোপালজল গ্রামে স্বজনহারাদের সঙ্গে দেখা করতে যান। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির কাছে শুকনো খাবার, বেবি ফুড পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে বাড়ি মেরামতির চেকও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫টি পরিবারের সদস্যরা সরকারি চাকরির আবেদন জানিয়েছেন।