সুলয়া সিংহ: বয়স মাত্র ২৫। কিন্তু এই বয়সেই তিনি তৃণমূলের স্টার ক্যাম্পেনার। তাঁর ‘খেলা হবে’ স্লোগান ভোট মরশুমে জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়েছে। সেই দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debanshu Bhattacharya) এবার দিলীপ ঘোষের নতুন বিশেষণ তৈরি করলেন। তাঁর মতে, রাজ্য বিজেপির সভাপতি হলেন এ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী!
দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) এমন কটাক্ষের কারণও ব্যাখ্যা করলেন দেবাংশু। গরুর দুধ থেকে সোনা পাওয়া যায়। এমন কথা একাধিকবার শোনা গিয়েছে দিলীপ ঘোষের গলায়। তাই কটাক্ষের সুরে দেবাংশু বলছেন, “উনি এমন একজন বিজ্ঞানী, যাঁকে ইসরো টাকা নিয়ে পুষতে পারেনি। এবার নাসা থেকে ডাক আসছে। ভোটে তো হারবেন। তারপর ভেবে দেখবেন যাবেন কি না।” সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে দিলীপকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলেই সম্বোধন করলেন বালির ছেলে।
[আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: কেমন প্রেমিকা চাই? মনের কথা জানালেন ‘সিঙ্গল’ দেবাংশু]
বিজেপির দুই মহারথী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর চোখে কেমন? দেবাংশুর উত্তর, “সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছিলাম MODI’র ফুলফর্ম মার্ডারার অফ ডেমোক্রেটিক ইন্ডিয়া। এমনি যদি বলেন ওঁ দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেই হিসেবে সম্মানীয়। কিন্তু রাজনৈতিক চরিত্র হিসেবে আমি ওঁকে সহ্য করতে পারি না। আর অমিত শাহ সব পাপ কাজ করে নরেন্দ্র মোদিকে দিয়ে আড়াল করেন। আসলে কিন্তু অমিত শাহই দেশের প্রধানমন্ত্রী।” ভোটের মরশুমে তাই এই মহারথীরা বারবার এসে রাজ্যবাসীর বাড়িতে বসে পাত পেড়ে খেলেও যে মানুষ তাঁদের আপন করে নেবেন না, এমনটাই মনে করেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই তাঁর মনে। ২ মে সবুজ আবির মেখে সেলিব্রেশনের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
তাঁর ‘খেলা হবে’ স্লোগানটি একুশের বঙ্গভোটের কার্যত সবচেয়ে জনপ্রিয় স্লোগান। এতটাই জনপ্রিয় যে খোদ মোদিকে এই স্লোগানের পালটা দিতে হচ্ছে জনসভায় দাঁড়িয়ে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, মানুষের জীবন নিয়ে খেলা শেষ হবে। এই লাইমলাইটে থাকার বিষয়টিও বেশ উপভোগই করছেন দেবাংশু। তাঁর কথায়, “আমার কোথাও গিয়ে মনে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের একটা অ্যাপলিটিক্যাল স্লোগান দরকার। যেমন বিজেপির জয় শ্রীরাম। যেখানে বিজেপি শব্দটা না থাকলেও তার সঙ্গে দলটা জুড়ে গিয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই ‘খেলা হবে’র জন্ম। আর এতেই চাপা পড়ে গিয়েছে জয় শ্রীরাম। এমনকী বিজেপি নেতার ছেলেও এই গানে নাচছে। তাই তো আজ মোদিকে এসে এই স্লোগানের পালটা দিতে হচ্ছে। আমার বেশ ভালই লাগছে ব্যাপারটা।”
[আরও পড়ুন: মীনাক্ষীকে পার্টির ‘মুখ’ করতে চায় আলিমুদ্দিন, নারাজ নন্দীগ্রামের ‘পোস্টার গার্ল’]
জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছেও অবশ্য বড় রাজনীতিবিদ হওয়ার স্বপ্ন আপাতত দেখতে নারাজ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র দেবাংশু। পদের কোনও লোভও নেই তাঁর। আপাতত ২ মে তৃণমূলের জয়ের সাক্ষী থাকার অপেক্ষাতেই প্রহর গুনছেন তিনি।