সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাম বদলে ছিলেন। বদলে ছিলেন ঠিকানাও। বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে পাকিস্তানের পেশোয়ার থেকে সোজা মুম্বই পাড়ি। মায়ানগরীর এক জাদুতেই মহম্মদ ইউসুফ হয়ে গেলেন দিলীপ কুমার (Dilip Kumar)। আর প্রথম ছবিতেই সুপারহিট বলিউডের ট্র্যাজেডি কিং নামে খ্যাত সবার প্রিয় দিলীপ সাহাব। পাকিস্তানেই পড়ে রইল পুরনো বসতবাড়ি, আত্মীয় পরিজন। বলিউডে শক্ত জমি পেয়ে এদেশেই থেকে গেলেন দিলীপ। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের সুতো ছিন্ন হয়নি। বার বার খোঁজ নিয়েছেন। প্রয়োজনে সে দেশেও গিয়েছেন। বার বার যখন ভারত-পাকিস্তান (India Pakistan) সীমানা উত্তপ্ত হয়েছে, কপালে ভাঁজ পড়েছে দিলীপ কুমারের। দুই দেশের শান্তি ফেরাতে বহু বার এগিয়ে এসে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন তিনি। তবে জীবনের শেষপর্যন্ত এই দেশের মাটি, বলিউড আঁকড়েই পড়েছিলেন তিনি। এদেশকে বড্ডই ভালবাসতেন তিনি। এদেশই তাঁর স্বপ্নপূরণ করেছে।
তবে পেশোয়ারের সেই মহম্মদ ইউসুফকে এখনও মনে রেখেছে পাকিস্তানের মানুষজন। বলিউড ছবির হাত ধরে দিলীপ সাহাব সে দেশেও উজ্জ্বল তারকা। আর তাই এই তারকাপতনে শোকের ছায়া পাকিস্তান জুড়েও। পেশোয়ারের সেই বাড়িটাও যা এখন সংগ্রহশালার রূপ নিয়েছে, সেই বাড়ির দেওয়াল জুড়ে দিলীপ কুমারের নস্ট্যালজিয়ায় এখন বুঁদ গোটা পাকিস্তান। তাই তো দিলীপ কুমারের প্রয়াণের খবর পেয়ে টুইট করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। টুইট করে তিনি লিখলেন, ‘দিলীপ কুমারের প্রয়াণের খবর শুনে শোকাহত। SKMTH প্রোজেক্টে পাকিস্তানকে যেভাবে তিনি সাহায্য করেছিলেন তা ভোলার নয়।’ টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভিও।
[আরও পড়ুন: গর্ভেই মারা যায় সায়রা বানুর সন্তান, দিলীপ কুমার করলেন দ্বিতীয় বিয়ে! এ এক সত্যি প্রেমের গল্প]
পাকিস্তানের কিংবদন্তি অভিনেত্রী নূরজাহানের সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব ছিল দিলীপ কুমারের। কেরিয়ারের শুরুতেই নূরজাহানের সঙ্গে ‘জুগনু’ ছবিতে অভিনয় করছিলেন দিলীপ কুমার। পাকিস্তানের কিংবদন্তি অভিনেত্রী নূরজাহানের সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব ছিল দিলীপ কুমারের। নূরজাহানের মেয়ে নাজিয়া দিলীপ কুমারের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে জানিয়েছেন, ‘মা ভারতে গেলেই দিলীপ কুমারের সঙ্গে দেখা করতেন। তাঁদের বন্ধুত্ব, ভালবাসাকে বর্ণনা করা যায় না। মা যতদিন বেঁচে ছিলেন, দিলীপ সাহাব নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ করতেন। এরকম বন্ধুত্ব খুবই দুর্লভ।’