সুমন করাতি, হুগলি: মহাকুম্ভে গিয়ে নিখোঁজের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। বাংলার একাধিক ব্যক্তির খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। এবার সেই তালিকায় হুগলির বৈদ্যবাটির এই ব্যক্তির নাম যোগ হল। প্রয়াগ কুম্ভে পুণ্যস্নান করতে গিয়ে নিখোঁজ বৈদ্যবাটির বাসিন্দা দীনেশ ঘোষ। ঘটনায় পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে উৎকণ্ঠা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈদ্যবাটির জেএন গুপ্ত লেনের বাসিন্দা বছর ৪৮-এর দীনেশ ঘোষ। তিনি পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। তীর্থস্থানে তিনি মাঝেমধ্যেই ঘুরতে যেতেন। এর আগে বেনারস, কাশী, গয়া-সহ একাধিক জায়গায় গিয়েছেন। ২০১৩ সালেও উত্তরপ্রদেশের কুম্ভস্নানে গিয়েছিলেন তিনি। সেবার কোনও সমস্যা হয়নি। নির্দিষ্ট দিনেই সুস্থ শরীরে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু এবার আর কোনও খোঁজ তাঁর পাওয়া যাচ্ছে না।
গত ২৭ জানুয়ারি সাঁতরাগাছি থেকে আনন্দ বিহার মেলে ট্রেনে যাত্রা করেছিলেন তিনি। দীনেশের সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশী দুই যুবক শুভঙ্কর জানা ও সন্টু মণ্ডল। পরদিন দুপুর দুটোয় প্রয়াগরাজে পৌঁছন তাঁরা। ২৯ তারিখ ভোর সাড়ে পাঁচটায় সঙ্গম ঘাটে স্নান করতে গিয়েছিলেন দীনেশ। সেখানেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। শুভঙ্কর ও সন্টু তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। ঘাটের অনুসন্ধান কেন্দ্রের মাইকে ঘোষণাও হয় তাঁর নাম।
ওই দুই যুবক প্রয়াগের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে বিফল হন। দীনেশ ঘোষের ফোনও পাওয়া যায়নি বলে খবর। নিখোঁজ ব্যক্তির বাড়িতেও গোটা বিষয়টি জানানো হয়। বৈদ্যবাটির বাড়িতে তারপর থেকেই দুশ্চিন্তার মেঘ ঘনিয়েছে। পরিবারের তরফে প্রয়াগরাজের জজ টাউনের হেল্প লাইনে ফোন করে ছবি ও নাম ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। কিন্ত এখনও পর্যন্ত কোনও সংবাদ আসেননি।
শুভঙ্কর জানা ও সন্টু মণ্ডল আজ শনিবার বাড়ি ফিরে এসেছেন। তাঁরাও গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত। উত্তরপ্রদেশে এখনও অবধি রাজ্যের তিনজনের মারা যাওয়ার খবর এসেছে। এখনও নিখোঁজ বাংলার সাতজন। তবে সেই নিখোঁজের তালিকা ক্রমেই বাড়ছে।