রূপায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়: কয়েকমাসেই মোহভঙ্গ। বিজেপি ছাড়লেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস। ইতিমধ্যেই মেলে রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস (Dipendu Biswas)। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল। বসিরহাট দক্ষিণ আসনে জয়লাভও করেন তিনি। কিন্তু একুশের ভোটে ঘাসফুল শিবির আর তাঁর উপর ভরসা করেনি। ফলে লড়াইয়ের সুযোগও দেয়নি। এতেই ক্ষুব্ধ দীপেন্দু জার্সি বদলে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। গেরুয়া শিবিরও টিকিট দেয়নি তাঁকে। তবে তাঁকে দলের রাজ্য কমিটির স্থায়ী সদস্য করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই বিজেপি ছাড়লেন দীপেন্দু। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্য দপ্তরে নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছন তিনি। এবিষয়ে এখনও বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
[আরও পড়ুন:‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প কার্যকর করতে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি? জানেন সত্যিটা?]
এবিষয়ে দীপেন্দু বলেন, “বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।” নারদ কাণ্ডে রাজ্যের মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারি নিয়েও মুখ খুলেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ও এক বর্তমান ও এক প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেই অভিযোগ করেন তিনি। তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন বিজেপির বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, তৃণমূল বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর একাধিক দাপুটে নেতা দল ছেড়েছিলেন। কারণ, এবার প্রচুর নতুন মুখকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। ফলে টিকিট পাবেন নিশ্চিত ছিলেন যাঁরা, ভোটে লড়ার সুযোগ না পাওয়ায় তাঁদের অনেকেরই মনে ক্ষোভ তৈরি হয়। বেশ কয়েকজন অভিমান ভুলে ফের দলের কাজে যোগ দিলেও অনেকেই হাত মিলিয়েছিলেন বিরোধী শিবিরে। তবে লাভ করতে পারেননি অনেকে। বহু প্রাক্তন তৃণমূল নেতা-নেত্রী বিজেপিতে গিয়েও টিকিট পাননি।