স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে ডাক্তারের সংকট মেটাতে তিন বছরের ডিপ্লোমা চিকিৎসক কোর্স চালুর বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সেই প্রস্তাবের পরই গঠিত হয় ১৫ সদস্যের একটি কমিটি। যে কমিটি আজ, সোমবার বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে।
মূলত তিনটি বিষয়ের উপর বিশেষভাবে আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। প্রথমত, ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র দিতে পারবেন কি না? দ্বিতীয়ত, একটি বিষয়ে সব সদস্যই সহমত হয়েছেন যে যাঁরা ডিপ্লোমা কোর্সের মাধ্যমে ডাক্তারি করবেন, তাঁরা জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র দিতে পারবেন না। তৃতীয়ত, ডিপ্লোমা চিকিৎস কোর্স চালু করা হবে কি না, তা নিয়ে কোনওভাবেই প্যারাল্যাল ক্যাডার যেন তৈরি না হয়।
[আরও পড়ুন: ‘আমি বিদ্রোহী নই’, সিদ্দারামাইয়াকে ‘শুভেচ্ছা’ জানিয়ে দাবি শিবকুমারের, অস্বস্তি কমল কংগ্রেসের?]
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, বর্তমানে ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিস ও ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন সার্ভিস- এই দুটি ক্যাডার পোস্ট চালু আছে। সূত্রের খবর, এই দু’টি ক্যাডারের বাইরে ফের নতুন কোনও ক্যাডার পোস্ট গঠন করা যাবে না। ১৫ সদস্যের কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রবীণ চিকিৎসক ডা.সুকুমার মুখোপাধ্যায়, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা-সহ আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ। এই বিষয়টি নিয়ে সব সদস্যদের মতামত লিখিতভাবে সুকুমারবাবুর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সাতদিন পর ফের কমিটির সদস্যরা আলোচনায় বসবেন। অর্থাৎ এদিনই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মূলত, রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় চিকিৎসা ব্যবস্থা যাতে প্রান্তিক মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছে যায়, সেই লক্ষ্যেই ডিপ্লোমা চিকিৎসক কোর্স চালুর প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।